Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কথিত অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের পুশব্যাকের প্রস্তুতি: টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ পিএম | আপডেট : ১২:০৫ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

ব্যাঙ্গালোরে আটক কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের পুশব্যাকের জন্য চুপচাপ সরিয়ে নেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে। সেখান দিয়ে তাদেরকে পুশব্যাক করার কথা। তবে কবে, কখন পুশব্যাক করা হবে এ বিষয়ে সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে। ‘বাংলাদেশী মাইগ্রেন্টস হুইস্কড অ্যাওয়ে টু নর্থ বেঙ্গল ফর পুশব্যাক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, ব্যাঙ্গালোর থেকে কথিত ৫৯ জন বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীকে সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। পুশব্যাকের অপেক্ষায় তাদেরকে কয়েকদিন রাখা হয়েছিল হাওড়ায় দুটি নিরাপদ আশ্রয়ে। কিন্তু সেখান থেকে উত্তরবঙ্গের দুটি স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য পরিবহন চাওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। এরপরই শুক্রবার দিনের আলো ফোটার আগেই তাদেরকে চুপিসারে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গে।

পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা বলছেন, কলকাতা থেকে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি উত্তরে মালদা জেলার নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্ট্যান্ডবাই থাকতে, যেন তারা ২২ বন্দিকে আরধ্যাপুর এবং সাতমাইল আউটপোস্টের বিএসএফের কাছে হস্তান্তরে সহায়তা করতে পারেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এক্ষেত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তকেও বেছে নেয়া হতে পারে।

তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোন সময়ে এবং কোন স্থান দিয়ে এসব কথিত বাংলাদেশীকে পুশব্যাক করা হবে সে বিষয়ে তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, যথাযথ সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ওদিকে শুক্রবার সকাল হওয়ার আগেই বন্দিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কর্নাটক প্রশাসনও।

হাওড়ার পুলিশ কর্মকর্তারা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বন্দিদের একটি আশ্রয়স্থল (হাওড়ার নিশ্চিন্দ) খালি করে দিতে বলা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে গাড়িতে তোলা হয়। ওই গাড়ি ছুটে যায় হাওড়া স্টেশনের দিকে। গত মাসে কর্নাটকের রাজধানী থেকে ৫৯ জন কথিত অবৈধ বাংলাদেশীকে আটক করার পর ব্যাঙ্গালোরের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিস তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারি করে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া এবং এর শেষ করা হলো রাজ্যের দায়িত্ব। কিন্তু এবারই প্রথম রাজ্য এসব বন্দিকে এক সপ্তাহ ধরে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে। গত শনিবার থেকে ৫৯ বন্দিকে কলকাতায় আশ্রয় দেয়ার কথা জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ বিষয়ে কোনো কিছুই জানে না কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন। সেখানকার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতীয় মিডিয়া থেকে আমরা সব কিছু জানতে পেরেছি। ওদিকে এই পুশব্যাক প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। এসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব ডেমোক্রেটিক রাইটস-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্য রণজিত সুর বলেছেন, শুক্রবার হাওড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে আমরা এই অমানবিক পুশব্যাকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।



 

Show all comments
  • Amir ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম says : 0
    প্রকৃত তথ্য প্রমাণ ছাড়া কোন বেআইনি বাংলাভাষী কে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশ যেকোনো ভাবে(গুলিবর্ষন প্রয়োজনে) তা মোকাবেলা করবে!
    Total Reply(0) Reply
  • ahammad ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম says : 0
    ভরতের নরপশুদের মত বিজিবিরও উচিৎ হবে অবৈধ অনুপ্রনেশ করীদের গুলিকরে প্রতিহত করা। গ্রেপতার করে কোন লাভনাই, কারন ঐসব লোককে তারাপরে আর ফরৎ নিবেনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ