রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্তরা রাত জেগে পাহারা
মাদারীপুর পৌর এলাকার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়ালখাঁ নদীতে হঠাৎ করে ধসে পড়ছে একের পর এক কাঁচা-পাকা ও আধাপাকা বাড়িঘর। ফাটলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে চন্দ্রপাড়া মুরিদানদের খানকা শরীফসহ আরো শতাধিক ঘরবাড়ি-স্থাপনা। যে কোনো মুহুর্তে এসব বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়াল খাঁ নদীতে হাইক্কার মার ঘাট এলাকা থেকে পাঠককান্দি হয়ে এ আর হাওলাদার জুট মিলের পশ্চিম গেট পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি. জায়গা জুড়ে বিরাট ফাটল ধরেছে। এই ফাটলের কারণে হঠাৎ করে দুইদিনের মধ্যে পাঠককান্দি এলাকার বহু বসতবাড়িসহ গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা ধসে নদীতে চলে গেছে। ক্রমাগতভাবে দেবে যাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর। কোনো কোনো বাড়ি ৮ থেকে ১০ ফুট, কোনো বাড়ি ৪/৫ ফুট দেবে গেছে। স্থানীয় কালাম হাওলাদারের বাড়ি ও সোনামিয়া মোল্লার বাড়ির একাংশ দেবে গেছে। ৮০ ভাগ ভেঙে পড়েছে চন্দ্রপাড়া মুরিদানদের খানকা শরীফ। হুমকির মুখে আরো শতাধিক ঘরবাড়ি-স্থাপনা। যে কোনো মুহুর্তে এসব বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সম্পদ ও শিশু সন্তানদের নিরাপত্তায় এসব বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খানকা শরীফ, আলী ঘরামীর বাড়ি, চুন্নু গৌড়া, আলমগীর তালুকদার, মুরাদ হাওলাদার, আবুল কালাম হাওলাদার, সোনামিয়া মোল্লা, মোশারফ হোসেন, এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন আরমিন, ডা. আবদুল হান্নান, মোহাম্মদ আলী, লিটন চৌকিদারের বাড়ি।
সরেজমিনে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. ওবাইদুর রহমান খান, মেয়রের প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসবে শতাধিক পরিবার।
খানকা শরীফের খাদেম আলী তালুকদার বলেন, ‘আমাদের খানকা শরীফের ৮০ ভাগ ধসে গেছে। যে কোন সময় সম্পূর্ণটা ধসে পড়তে পারে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ নদী গর্ভে চলে যাবে।’
ক্ষতিগ্রস্থ আলী ঘরামী বলেন, ‘আমি ভ্যান চালিয়ে গরু-বছুর, হাস-মুরগী পালন করে বাড়ি বানিয়েছি। চোখের সামনে নদীতে চলে গেলো। এখন আমি পরিবার ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো?”
ক্ষতিগ্রস্থ চুন্নু গৌড়া বলেন, ‘আমার সারা জীবনের রোজগার দিয়ে বাড়ি করেছিলাম। বাড়িটিই ছিলো আমার একমাত্র সম্পদ। তাও নদীতে চলে গেলো। আমি পঙ্গু মানুষ এখন কোথায় যাবো, কি করবো?’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থপ্রতীম সাহা বলেন, ‘আমি সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দেখে এসে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুমোদন পেলে আগামী সপ্তাহে নদীতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত সময়ে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।