বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : মিথ্যে প্রলোভনে পড়ে বিয়ে করে তিনমাসের অন্তঃস্বত্ত¡া সোনিয়া এখন স্বামীর হুমকিতে দিশেহারা। কুমিল্লা ইপিজেড শ্রমিক সোনিয়ার সাথে প্রথমে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে নগরীর ছোটরা এলাকার মাসুক আলমের ছেলে সালাউদ্দিন। ওই বিয়ের সাড়ে চার মাসের মাথায় ফের বিয়ে করে সালাউদ্দিন। তারপর সোনিয়ার উপর শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। হুমকি দেয়া হচ্ছে গর্ভপাতের। এমনই পরিস্থিতিতে সোনিয়া স্থানীয় কাউন্সিলর মো. বিল্লালের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের বাসিন্দা একসময়কার গাড়িচালক সফিকের কন্যা সোনিয়া আক্তার কুমিল্লা ইপিজেডে কাদোনাও নামে একটি বিদেশি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। নগরীর টমছমব্রীজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। গত এপ্রিলের শেষের দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলার সূত্র ধরে পরিচয় ঘটে কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকায় অবস্থিত রেজিস্ট্রি অফিসের মুহূরী সালাউদ্দিনের সাথে। পরিচয়ের কয়েকদিন পরেই সোনিয়াকে মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে বিয়ে করেন সালাউদ্দিন। এবিয়ের খবর দুই পরিবারের কেউই জানে না। গোপনে বিয়ে করলেও সালাউদ্দিন প্রায় চার মাস টমছমব্রীজের ওই ভাড়া বাড়িতে সোনিয়ার সাথেই রাত কাটাতো। বিয়ের পর প্রতিদিনই ইপিজেডের কাজ শেষে সোনিয়াকে টমছমব্রীজের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে রাতে তার কাছে চলে আসতো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বিল্লাল বলেন, ‘আমি মেয়েটির কাছ থেকে সবই শুনেছি। সে তার ঘটনার বিষয়ে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন। সালাউদ্দিন নামের ছেলেটি আমার এলাকার। আমি দুইপক্ষকে নিয়ে বসার লক্ষ্যেই সালাউদ্দিন ও তার বাবাকে আমার কার্যালয়ে আসার জন্য মৌখিকভাবে বলেছিলাম। কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছে না। মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত¡া। ঘটনাটিতে আরেক জীবন জড়িয়ে পড়েছে। তাই আমি চাই মেয়েটি ন্যায়বিচার পাক। আর এজন্য আমরা তাকে সবধরণের সহযোগিতা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।