পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ পরিবেশ’ বিষয়ে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ^বিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়নে পরিবেশগত সমাধান; সাহায্যকল্পে উন্নত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে। কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের অফিস সেক্রেটারী আবদুস সোবহান গোলাপ।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনসহ ঢাবি ভূতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন সায়েন্সেস পরিবেশ বিষয়ক ২০৯টি সায়েন্টিফিক বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াসহ ২০টি দেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ দেশ বিদেশের খ্যাতনামা পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ সচেতন মানুষরা অংশ নেন। সেমিনারে থিম স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ প্রফেসর এমিরেটাস ড. আইনুন নিশাত। প্লেনারি লেকচার প্রদান করেন বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান এবং ইউএসএ’র ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গ্রেগরি জে হাওয়ার্ড। অনুষ্ঠানে চেয়ার ও কো চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আতিউর রহমান, সাবেক সচিব এন আই খান, কলকাতা বিশ্বদ্যিালয়ের প্রফেসর ড. দিলিপ কুমার মৈত্রী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ন আকতার, অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত উন্নয়ন জরুরি এবং আমাদের ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট কমাতে হবে, তাহলেই সম্ভব হবে টেকসই উন্নয়ন। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের এই ধরনের সম্মেলন লক্ষমাত্রা অর্জনের পথ প্রশস্থ করবে, একথা নিশ্চিত বলা যায়। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর বজলুল হক খন্দকার বলেন, রাজনৈতিক এবং শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে আয়োজিত এই সায়েন্টিফিক কনফারেন্স সত্যিই ব্যতিক্রম এবং উদাহরণ যোগ্য।
আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তক বাস্তবায়িত বিভিন্ন সফল কর্মসূচির ফলে বিশ্বে একটা রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে গন্য করা হয়। ঢাবি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, পরিবেশ উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে ব্যাপক ও বিস্তৃতভাবে জানার জন্য সায়েন্টিফিক একাডেমিক কনফারেন্স যত বেশি করা যায়, টেকসই উন্নয়নের গতি তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। দেলোয়ার হোসেন বলেন,পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা আনয়নে প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনতা আনয়নে এই ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধ পরিকর উল্লেখ করে বলেন, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত উন্নয়ন ও বায়ু দূষণরোধে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তব্য়ান করছে। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নের জন্য নানাভাবে পরিবেশকে ধ্বংস করি। পরিবেশগত সমস্যা জাতীয় বা আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশি^ক সমস্যা। আমাদের সামনে নানামূখী চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের একতাবদ্ধভাবে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সীমিত সুযোগ ও সম্পদ নিয়ে আমরা এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্যই অর্জন করতে চাই। কৃষিমন্ত্রী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসবে সেগুলো বিবেচনা করে দেখার আশ^াসও দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।