নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নামে, ভারে, দক্ষতা আর বিনোদনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উৎকৃষ্ট বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইল। ধুন্ধুমার ব্যাটিং আর আয়েশি বোলিং, ফিল্ডিংয়ে মাঠ মাতানোতে তার জুড়ি মেলা ভার। আন্তর্জাতিক তো বটেই ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজি লিগ গুলোতে তার কদর এখনও আকাশচুম্বি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ক্রিকেটীয় বিনোদন দিয়ে এসেছেন শুরু থেকেই। সেই ক্যারিবিয়ান তারকা এবার গলার কাঁটায় পরিণত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)! তাকে ঘিরেই হুট করে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে বিশেষ বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ড্রাফটে নিজের নাম কীভাবে এলো তার কিছুই নাকি জানতেন না ব্যাটিং দানব! তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে ভিন্ন কথা। নিজে থেকেই বিপিএলে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এ ক্যারিবিয়ান!
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এবারের অভিযান শেষ। বছরের বাকি সময়টুকু বিশ্রাম নেবেন গেইল। জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবেন না ভারতে সফরে। খেলবেন না ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও। কিন্তু বিপিএলে যে তাকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স! গেইল জানালেন বিস্ময়কর তথ্য, বিপিএলের ড্রাফটে কিভাবে তার নাম এলো, নিজেই জানেন না!
বিপিএলের ড্রাফটে এবার শীর্ষ ক্যাটভগরিতে ছিল গেইলের নাম। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম ডাকেই তাকে দলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু গেইলের দাবি, তিনি এসব নিয়ে পুরোই আঁধারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ ম্যাচ শেষে ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নেওয়ার প্রসঙ্গেই জানিয়ে দিলেন বিপিএল নিয়ে তার বিস্ময়ের কথা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাকে বলেছিল ওয়ানডে সিরিজে (ভারতে) খেলতে। কিন্তু আমি খেলছি না। নির্বাচকেরা চান, তরুণদের সঙ্গে আমি খেলি। কিন্তু আপাতত এই বছর আমি ক্রিকেট থেকে বিরতি নিচ্ছি। বিগ ব্যাশে এবার খেলছি না। জানি না, সামনে কোন ক্রিকেট আমার অপেক্ষায় আছে। আমি এমনকি এটাও জানি না, আমার নাম কিভাবে বিপিএলে পৌঁছে গেল। কিন্তু আমাকে একটি দলে নেওয়া হয়েছে, নিজেও জানি না সেটা কিভাবে হলো।’
গেইলের এই বিস্ময় আরও বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের জন্য। ফ্রাঞ্চাইজিটির টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস তো গেইলের কথা শুনে মনে হলো আকাশ থেকে পড়লেন, ‘গেইল এরকম বলেছে নাকি! আমরা তো কিছু জানি না। তার নাম ড্রাফটে ছিল, আমরা নিয়েছি। তার অনুমতি ছাড়া তো ড্রাফটে নাম তোলার কোনো কারণ আমি দেখি না। তার এজেন্ট সবই জানে। যে এজেন্ট আগে ছিল, এবারও তো সেই লোকই আছে। তার সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। আর ড্রাফট হয়েছে ১০ দিন আগে, গেইল এত দিন তো কিছু বলেনি। হঠাৎ কেন এসব বলছে, জানি না।’
বিষয়টি হয়তো এজেন্টের সঙ্গে গেইলের ব্যক্তিগত কোন সমস্যায় এমনটা হতে পারে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। সে গুঞ্জনেও পানি ঢেলেছেন জালাল ইউনুস। কারণ তাদের সঙ্গে গেইলের দেন দরবার সম্পর্কিত আলোচনা চলছিল বলেই জানান তিনি। তাতে সহজেই প্রমাণ হয় গেইল যদি কিছু নাই জেনে থাকেন তাহলে কেন টাকা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান জালাল, ‘প্রথম সুযোগেই গেইলকে নিয়েছি আমরা। তাকে ঘিরেই সব পরিকল্পনা। সে না এলে তো বড় বিপদে পড়ব আমরা। ড্রাফট থেকে তাকে নেওয়ার পর তার সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। টাকা পয়সা নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু কয়েক দিন থেকে সে কিছু জানায়নি। এরপর হঠাৎ করেই এ সংবাদ শুনলাম। বুঝতে পারছি না এখানে সমস্যাটা কোথায়।’
জালালের এই মন্তব্যের পক্ষেই কথা বললেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনও। ড্রাফটের আগে তার এজেন্টের পাঠানো পাঠানো ডকুমেন্টে গেইলের সাক্ষরও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধরী সুজনও, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমরা একটা নিয়ম মেনেই তালিকায় নাম দেই। গেইলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তার এজেন্ট আমাদের যে ডকুমেন্ট দিয়েছে তাতে গেইলের সাক্ষর রয়েছে। আমি ডকুমেন্ট যাচাই করেও দেখেছি।’
তবে গেইলের মন্তব্যে বিস্ময়ের পাশাপাশি শঙ্কাও ঘিরে ধরেছে ফ্রাঞ্চাইজিটির দায়িত্বে থাকা জালাল ইউনুসকে, ‘গেইলকে ঘিরে পরিকল্পনা করা হয়েছে, প্রথম সুযোগেই সবার আগে তাকে নিয়েছি আমরা। সে না এলে তো বড় বিপদে পড়ব আমরা। এখন তার বদলে কোনো রিপ্লেসমেন্ট নিতে দেওয়া হলেও আমরা তো ওর মতো কাউকে পাব না। আগে থেকে জানলে হয়তো ড্রাফটে থিসারা পেরেরা বা এরকম কাউকে নিতাম। এখন তো উপযুক্ত কাউকে পাওয়াই কঠিন। এমনিতেই রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ইনজুরিতে, এটি নিয়ে আমরা টেনশনে আছি। এখন গেইলও না এলে বড় বিপদে পড়ব আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।