মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার যন্ত্রণা বোধহয় একমাত্র কোলের সন্তান ছাড়া আর কারও পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব নয়! ছয় বছর লাগাতার তন্নতন্ন করে খোঁজার পর ভারতে নিজের মা’কে খুঁজে পেলেন ৪১ বছরের ডেভিড নিয়েলসন।
৪১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে মাকে খুঁজে পেলেন হিমাচল প্রদেশের মানালিতে। সেখানেই টালির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন ৬৮ বছর বয়সের ধনলক্ষ্মী। তাকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়িতে এসে হাজির হন ৪১ বছরের শুটেড-বুটেড ডেভিড। আর সেই শুটেড-বুটেড ব্যক্তির কাছ থেকে ‘মা’ ডাকটা একবার শুনে, ‘আমার ছেলে-আমার ছেলে’ বলে চিৎকার করে উঠলেন ষাটোর্ধ্ব ধনলক্ষ্মী দেবী।
ধনলক্ষ্মীর অজান্তেই তার ছেলে ডেভিডকে দত্তক নিয়েছিলেন এক ড্যানিশ পরিবার। যে চাইল্ড হোমে ডেভিড থাকতেন, সেখান থেকেই ওই ড্যানিশ পরিবার তাকে নিয়ে যান। তখন ডেভিডের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। নিজের জন্মদাত্রী মাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ডেভিডের সম্বল ছিল ছোট বেলার একটি সাদাকালো ছবি। সেই ছবির দৌলতেই নিজের মা’কে অবশেষে খুঁজে পেল ডেভিড। সেই ছবিতে রয়েছে ছোট্ট ডেভিড আর তার মা। যে চাইল্ড হোমে ডেভিড থাকতেন, সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছিল এই ছবি। পাল্লাভারামের সেই চাইল্ড হোম বন্ধও হয়ে যায় ১৯৯০ সালে।
ডেভিড নিয়েলসনের কথায়, ‘এটা আমার জন্য খুবই আবেগপ্রবণ মুহূর্ত একটা।’ নানান প্রান্তের বন্ধুরা থেকে শুরু করে, কৌসুলিরা, অঞ্জলি পাওয়ার এবং অরুণ ধোলের মত সমাজসেবীরাই শেষমেশ ডেভিডকে পথ দেখিয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়।
গত মাসেই ডেনমার্কের কোপেনহাগেন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ডেভিড। আর তখনই তিনি জানতে পারেন যে, লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে দিন গুজরান হয় মায়ের। আর সেই ভিডিও কলে ডেভিড এ-ও জানতে পারেন যে, সারাবানন নামে তার একটি ছোট্ট ভাইও রয়েছে।
চেন্নাই কর্পোরেশনের রেকর্ড বলছে, ১৯৭৬ সালের ৩রা আগস্ট রোয়াপুরমের আরএসআরএম সরকারি হাসপাতালে জন্ম হয়েছিল ডেভিডের। মায়ের নাম ধনলক্ষ্মী এবং বাবার নাম কালিয়ামূর্তি। চরম অর্থকষ্ট ছিল ধনলক্ষ্মীর পরিবারের। তাই দুই ছেলেকে তারা রেখে এসেছিলেন একটি চাইল্ড হোমে। চরম দুরাবস্থা কাটিয়ে যখন ধনলক্ষ্মী এবং তার স্বামী ওই চাইল্ড হোমে গিয়ে সন্তানদের আনতে গেলেন, সেই সময়েই তাকে বলা হল যে, ছেলেদের কেউ দত্তক নিয়েছেন।
সেই দিন থেকেই নিজের মনকে একরকম বুঝিয়ে নিয়েছিলেন ধনলক্ষ্মী। নিজেদের হাজার বিপদ আসুক, কিন্তু ডেনমার্কে ছেলেদুটো ভালই থাকবে। ডেভিডের রড় ভাই রাজনকেও এক ড্যানিশ পরিবার দত্তক নেয়। সেই রাজনই এখন মার্টিন ম্যানুয়েল রাসমুসেন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।