মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনে বিজেপির জমা দেওয়া হিসাবকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করল কংগ্রেস। দেশদ্রোহিতার গুরুতর অভিযোগ আনল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ইকবাল মির্চির সঙ্গে জড়িত তিনটি সংস্থা বিজেপিকে যথাক্রমে ১০ কোটি, ৭.৫ কোটি ও ২ কোটি টাকার চাঁদা দিয়েছে। এই তথ্য তুলে ধরে কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ অমিত শাহের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “এটা দেশদ্রোহ নয়? এটাই কি তবে মিথ্যা জাতীয়তাবাদ?”
শনিবার সকালে সংসদের গান্ধীমূর্তির সামনে কংগ্রেস বন্ড-কেলেঙ্কারি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করতে গেলে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু থামিয়ে দেন। অভিযোগের কোনও ‘রেকর্ড’ রাখা হয়নি। মন্ত্রীদেরও জবাব দিতে বারণ করেন।
তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের হাতে যে তথ্য এসেছিল, তাতে প্রসঙ্গ ছিল শুধু দুর্নীতির— অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তি উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের আগে নতুন বন্ড কেনার সুযোগ করে দিয়েছে।
তথ্য জানার অধিকার আইনে দেখা যাচ্ছে, ১৫ দিনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও ১০ কোটি টাকার বন্ড গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাংককে।
গতকাল শুক্রবার নির্বাচনী বন্ডের অভিযোগ আসার পর রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির ‘অঘোষিত’ কোষাধ্যক্ষ পীযূষ গয়ালকে দিয়ে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক করানো হয়েছিল। কিন্তু আজ সন্ত্রাসের অর্থ চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আসার পরেও বিজেপি কোনও সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ খন্ডন করেনি।
কংগ্রেসের এক নেতার মন্তব্য, “কোন মুখে খন্ডন করবে? হিসেব তো খোদ বিজেপিই দিয়েছে। আর সেই হিসেব ২০১৭ পর্যন্ত। ২০১৮ সালে চালু হয় নির্বাচনী বন্ড। এরপর থেকে বন্ডের মাধ্যমে গোপনেই সন্ত্রাসের টাকা নেয় বিজেপি। বিদেশের টাকাও আসতে পারে। আগে টাকা নেওয়ার সীমা ছিল, এখন তো তা-ও নেই।’’
সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির যুক্তি, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আরও বেড়েছে। নগদে লেনদেনের সুযোগ নেই।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটবার্তায় পীযূষের সাংবাদিক বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন, “এক মন্ত্রী কাগজ পড়ে গেলেন। কিন্তু এই সব প্রশ্নের জবাব কী? ১) (নির্বাচনী বন্ড চালু করার ক্ষেত্রে) রিজার্ভ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশনের আপত্তি কি উপেক্ষা করা হয়েছে? ২) প্রধানমন্ত্রী কি কর্নাটকে ভোটের আগে বেআইনিভাবে বন্ড কেনার অনুমতি দিয়েছেন? ৩) চাঁদা দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় গোপনীয়, এটি কি মিথ্যা বলেছে সরকার?’’ সূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।