Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন রাজাপক্ষের চাপে ঘরে-বাইরে প্যাঁচে দিল্লি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:২৫ পিএম

শ্রীলঙ্কার নতুন রাজনৈতক আমলে যথেষ্ট হিমসিম খাচ্ছে নয়াদিল্লি। এক দিকে চীনা কাঁটা, অন্য দিকে ভারতের তামিল আবেগ— এই দু’টি বিষয়ই চাপ তৈরি করছে মোদি সরকারের উপর। আজ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে সাউথ ব্লকের প্রাথমিক দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল চীন প্রশ্নে। প্রকাশ্যেই চীন-পন্থা নিয়ে চলা এই রাজাপক্ষে পরিবারের সঙ্গে কূটনীতি এগোনোর ক্ষেত্রে নয়াদিল্লিকে যে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গত ক’দিনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে। কিন্তু চীন-কাঁটার পাশাপাশি ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে মাহিন্দা রাজাপক্ষের পুত্র তথা গোতাবায়ার ভাতিজা, সে দেশের রাজনীতিবিদ নমল রাজাপক্ষে বোমা ফাটিয়েছেন তামিলনাড়ুর নেতাদের বিরুদ্ধে। বংশগতভাবে তামিল-বিরোধী নমল বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার তামিলদের জন্য কুমিরের কান্না বন্ধ করুন তামিলনাড়ুর রাজনীতিবিদরা।’ এর পরে ডিএমকে, এমডিএমকে-র নেতারা শুধুমাত্র ক্ষোভই জানাননি, সংসদে বিষয়টি আলোচনার জন্য গতকাল নোটিসও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভ্যন্তরীণ তামিল ক্ষোভ সামলাতে বিবৃতি দিতে হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমারকে। তিনি বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন যে, সে দেশের সরকার জাতীয় ঐক্য তৈরি করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই আশা ভারতের। যে প্রক্রিয়ায় সাম্য, ন্যায়, শান্তি ও সম্মান পাওয়ার জন্য তামিল সম্প্রদায়ের আশা আকাঙ্ক্ষা মিটবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি গোটা দেশেরই প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠতে চাইছেন। কোনও জাত, সম্প্রদায়, ধর্মের বিভাজন দেখা হবে না।’

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে আজ তামিলদের ‘সাম্য’, ‘ন্যায়’ এবং ‘সম্মানের’ কথা এভাবে জোর দিয়ে বলতে হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। আগামী ২৯ তারিখ গোতাবায়া যাচ্ছেন দিল্লি সফরে। তার আগে কূটনৈতিক পরিবেশ মেঘমুক্ত রাখার জন্য চেষ্টার কসুর করা হচ্ছে না সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে। গত কয়েক দিন ধরে প্রচার মাধ্যমে গোতাবায়ার সঙ্গে চীনের সুসম্পর্কের মাঝে ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক খতিয়ে দেখার বিষয়টিরও পরোক্ষে বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কথায়, ‘শ্রীলঙ্কা অথবা সেই অর্থে কোনও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কোনও তৃতীয় দেশের উপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের বহুস্তরীয় সম্পর্কের ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক ভিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার অভিনন্দনজ্ঞাপক টুইটে প্রথমেই জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে এবং গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নয়াদিল্লি

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ