মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। রাজধানীতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভরত পুলিশ সদস্যদের হাতে ‘রক্ষকদের রক্ষা করুন’, ’আমরা কিল-ঘুষির বস্তা নই’, ‘পুলিশ কমিশনার সামনে আসুন’, ‘আমরা ন্যায় বিচার চাই’সহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
গত শনিবার নয়াদিল্লির টিস হাজারি আদালত চত্বরে এক পুলিশ সদস্যকে দুই আইনজীবীর মারধরের পর তাদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ শুরু করে পুলিশ। নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পুলিশ সদর দফতরের সামনের ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করছেন তারা।
বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ সংস্থা ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস)। দিল্লিতে পুলিশের এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, পুলিশ সদস্যদের চলমান বিক্ষোভে সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সমর্থন রয়েছে।
রাস্তায় বিক্ষোভরত পুলিশ সদস্যদের সামনে উপস্থিত হয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পটনায়েক বলেন, আমাদের সুশৃঙ্খল বাহিনীর মতো আচরণ করতে হবে। আমরা যেন আইন মেনে চলি। আর এটা সরকার এবং জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে। এটা আমাদের বড় দায়িত্ব। আমি আপনাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।
পুলিশ সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে দিল্লি পুলিশের কমিশনার সেখানে হাজির হয়ে বিক্ষোভরতদের শান্ত হয়ে কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পটনায়েক পুলিশ সদর দফতর থেকে চলে যান।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের নজিরবিহীন এই উত্তেজনা থামানোর দায়িত্ব দিয়েছে নয়াদিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বিক্ষোভরত এক পুলিশ সদস্য এনডিটিভিকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি আমাদের দাবি না শোনেন, তাহলে অধস্তন কর্মকর্তারা অসহায়। আমার নাম আপনাকে বলতে পারবো না। আমি নাইট ডিউটি শেষ করেই পোশাক পাল্টে এখানে এসেছি...আমরা ন্যায় বিচার চাই।
গত শনিবার নয়াদিল্লি তিস হাজারি আদালত চত্বরে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য ও ৮ আইনজীবী আহত হন। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় কমপক্ষে ২০টি গাড়ি।
এই সংঘর্ষের প্রতিবাদে আইনজীবীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সদর দফতরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। দিল্লি সাকেত জেলা আদালতে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে একদল আইনজীবীর সংঘর্ষের পর তিস হাজারিতে পুলিশ-আইনজীবী সংঘর্ষ বাঁধে।
দিল্লি বার এসোসিয়েশন টিস হাজারি আদালত চত্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।