দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
১। মোহাম্মদ ফারহানুল বারী দাইয়্যান, খেজুরবাগ, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : রমজানের ৩০ আমল, রোজার উপকারিতা, ক্ষতিকর কাজসমূহ ও রোজা কাজা করার বিধান সম্পর্কে জানতে চাই?
জবাব : রমজানের ৩০ আমল : ১. সিয়াম পালন করা। ২. সময়মতো সালাত আদায় করা। ৩. সহিহভাবে কোরআন শেখা। ৪. অপরকে কোরআন পড়া শেখানো। ৫. সাহরি খাওয়া। ৬. সালাতুত তারাবিহ পড়া। ৭. শুকরিয়া আদায় করা। ৮. কল্যাণকর কাজ বেশি করা। ৯. তাহাজ্জুদ পড়া। ১০. বেশি বেশি দান করা। ১১. সদকা করা। ১২. উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা। ১৩. ইতিকাফ করা। ১৪. দাওয়াতে দীনের কাজ করা। ১৫. সামর্থ্য থাকলে ওমরা পালন করা। ১৬. লাইলাতুল কদর তালাশ করা। ১৭. বেশি বেশি দোয়া ও কান্নাকাটি করা। ১৮. ইফতার করা। ১৯. ইফতার করানো। ২০. তাকওয়া অর্জন করা। ২১. ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা। ২২. ফিতরা দেওয়া। ২৩. অপরকে খাবার খাওয়ানো। ২৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করা। ২৫. কোরআন মুখস্থ বা হিফজ করা। ২৬. আল্লাহর জিকির করা। ২৭. মিসওয়াক করা। ২৮. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা। ২৯. পরস্পর কোরআন শেখানো। ৩০. কোরআন বোঝা ও আমল করা।
রোজার উপকরিতা : ১. রোজা মানুষের দেহ ও আত্মাকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। ২. রোজার রাখার কারণে মানুষ কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি অর্জন করে। ৩. রোজা মানুষের মায়া-মমতা ও পারস্পরিক সহমর্মিতা সৃষ্টি করে। ৪. রোজা মানুষের দেহকে সুস্থ রাখে। ৫. রোজা মানুষকে অসভ্যতা ও বেহায়াপনা থেকে দূরে রাখে। ৬. আল্লাহতায়ালা নেয়ামত ও বরকতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের শিক্ষা দেয়।
রোজার ক্ষতিকর কাজসমূহ :
১.পরনিন্দা করা। ২. অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা। ৩. ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা। ৪. ক্ষুধা-তৃষ্ণার অস্থিরতা প্রকাশ করা। ৫. অনর্থক অপ্রয়োজনীয় কথা বলা। ৬. কোনো বস্তু মুখে রাখা বা চিবানো। ৭. বিনা প্রয়োজনে খাদ্যবস্তুর স্বাদ গ্রহণ করা। ৮. এমনভাবে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া যাতে পানি কণ্ঠনালিতে পৌঁছে যায়। এর ফলে পরবর্তীতে কাজা করতে হবে। ৯. সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত ফরজ গোসল না করা। ১০. মাজন, টুথপেস্ট বা কয়লা চিবিয়ে দাঁত মাজা। ১১. স্ত্রীকে আলিঙ্গনা বা চুম্বন করা। ১২. কোনো খাদ্যকণা থাকলে গিলে ফেলা। ১৩. রক্ত দান করা।
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় এবং কাজা করতে হয় :
১. সূর্য অস্ত গেছে মনে করে ইফতারির সময়ের পূর্বে পানাহার করা। ২. রোজা রেখে স্ত্রীর সাথে চুম্বন বা জড়াজড়ি করার কারণে বীর্যপাত হওয়া। ৩. সাহরির সময় আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার বা স্ত্রীর সহবাস করা। ৪. কুলি করার সময় কিছু পানি গলায় চলে যাওয়া। ৫. নাকে বা কানে ঔষধ দিলে তা পেটের মধ্যে চলে যাওয়া। ৬. সাহরিতে মুখে পান রেখে সুবহে সাদিকের পর পর্যন্ত ঘুমানো। ৭. অসুস্থ ও দুর্বলতার কারণে রোজা ভাঙলে কাজা করতে হবে। ৮. রোজা পালনকারীর মুখে শরীরের ঘাম বা চোখের পানি ঢুকে পড়লে যদি তা কণ্ঠনালি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ৯. দুপুরের পর রোজার নিয়ত করা।
১০. দাঁত থেকে বের হওয়া রক্ত থু-থু-র চাইতে বেশি হয়ে তা গলার ভিতর চলে যাওয়া।
উত্তর দিচ্ছেন : মিযানুর রহমান জামীল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।