Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রেকর্ড গড়ে সপ্তমে খুলনা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:১৯ পিএম

সুবাসটা আগের দিনই পেয়েছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। সেই উপলক্ষ্যে বধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রকিবুল হাসান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর সেই প্রতিরোধের দেয়াল ভেঙেই রেকর্ডগড়া শিরোপা পুনরুদ্ধারের উল্লাসে মাতে খুলনা বিভাগ। গতকাল প্রথম স্তরের শেষ রাউন্ডে ঢাকা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত তকমা নিয়েই জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শিরোপা জিতেছে আব্দুর রাজ্জাকের দল।

খুলনার এটি সপ্তম শিরোপা। প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল ২০০২-০৩ মৌসুমে। এরপর জেতে ২০০৭-০৮ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা সংখ্যায় খুলনার পাশে বসেছিল রাজশাহী। এক মৌসুম পরেই শিরোপা জয়ের রেকর্ড আবারও নিজেদের করে নিলো খুলনা। আর রাজশাহীর হয়েছে উল্টো অভিজ্ঞতা। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরে প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। আর দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম স্তরে উঠে এসেছে সিলেট বিভাগ।

ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে খুলনার পয়েন্ট ৩৯.৮১। চার ড্র ও এক জয়ে ২৪.৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ঢাকা। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ২১.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে রংপুর। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ১৮.৬৫ পয়েন্ট পাওয়া রাজশাহী নেমে গেছে দ্বিতীয় স্তরে।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল ঢাকা। খেলা শুরু করেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান ৩৯ ও আরাফাত সানি জুনিয়র ৯ রান নিয়ে। খুলনার বোলারদের হতাশ করে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি তারা। এর মাঝে রকিবুল তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।

বিরতির পর খেই হারায় ঢাকা। ৫ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারায় তারা। সতীর্থকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় ম্যাচের শেষ দুদিনের জন্য বহিষ্কৃত হওয়া শাহাদাত হোসেন ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। এই পেসারকে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

রানআউটে কাটা পড়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন রকিবুল। ২২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৯৯ রানে আউট হন তিনি। রকিবুলের বিদায়ে ভাঙে আরাফাতের সঙ্গে তার ১২৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ফিফটি তুলে নিয়ে আরাফাত ফেরেন ১৪৮ বলে ৫৩ রান করে।

আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া খুলনার পেস অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান এদিন আরও ২ উইকেট নেন। ৫ উইকেট নিতে তার খরচা ৪৪ রান। স্পিনার নাহিদুল ২ উইকেট পান ৭৪ রানের বিনিময়ে।

১১৭ রানের সহজ লক্ষ্য রবিউল ইসলাম রবির উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে খুলনা। ওপেনার এনামুল হক বিজয় মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৭৬ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি সমান ৪টি করে চার ও ছয় মারেন। তার সঙ্গী অমিত মজুমদার ৭৪ বলে ৩৩ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ২২৭ বলে ১৫০ রানের হার না মানা দারুণ ইনিংস খেলা খুলনা দলনেতা নুরুল পান ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৫ ম্যাচে ১৯.৬৭ গড়ে ৩১ উইকেট নিয়ে এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার রাজ্জাক। প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রামের ইরফান হোসেনের উইকেট ১৯টি।

এদিন নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের কাছে স্বাগতিকরা হেরেছে ১৫৫ রানে। সকালে ব্যাটিংয়ে না নেমে আগের দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। তাতে রাজশাহী পায় ২৪৯ রানের লক্ষ্য। কিন্তু তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ