নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষ হয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তি, হতাশা ও ক্ষোভের মিশ্রণ ছিল এই এজিএমে। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম বাফুফের সাধারণ সভা। যাকে ঘিরে অনেকদিন ধরেই আলোচনায় সরব ছিল দেশের ফুটবলাঙ্গন। এজিএম ভেন্যূ রাজধানী থেকে বেশ কিছুটা দূরে গাজীপুরের গহীন বনের কোল ঘেঁষে হওয়ায় ফুটবলবোদ্ধাদের আগ্রহ যেন একটু বেশীই ছিল। যে কারণে, গাজীপুরের শ্রীপুরস্থ সারাহ রিসোর্টে ক্রীড়াঙ্গনের উৎসুক মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে বাফুফের এজিএম শেষ হয় দুপুর দেড়টার দিকে। সারাহ রিসোর্টে ঢুকতেই বিশাল ব্যানার ‘বিএফএফ কংগ্রেস-২০১৯’ লেখা চিনিয়েছে এজিএম ভেন্যু। ভেতরের আঁকা-বাঁকা পথে যেতে চোখে পড়লে ভেন্যুর নির্দেশনা। এজিএম ভেন্যুর কাছে পৌঁছাতেই বেশ গরম বক্তব্যের আওয়াজ কানে গেল। এজিএম শুরুর সময় নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকলেও সমাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাউন্সিলরদের এক অংশ। অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে এজিএম শেষ করে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাফুফের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী তরফদার মো: রুহুল আমিন। যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথাও বলেছেন তিনি। তবে এজিএম শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী মো: সালাউদ্দিনের মুখে চওড়া হাসি। রাগ ও ক্ষোভ ঝরলেন সহ-সভাপতি বাদল রায়। হতাশ কন্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়- এমন এজিএম করে লাভ কি? প্রায় সাড়ে ৩ বছরের হিসাব-নিকাশ। সবার মনে জমে থাকা অনেক প্রশ্ন। এতসব কি কয়েক ঘন্টার এজিএমে শেষ হয়?
এজিএম শেষে নির্বাহী কমিটির প্রায় সব সদস্যকে দু’পাশে রেখে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি এমন একটা এজিএম করতে পেরে। এখানে সবাই খোলামনে কথা বলেছেন। ফুটবল একটি পরিবার। এ সভায় তা আবার প্রমাণিত হলো। ফুটবলের স্বার্থেই আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।’ সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের এজিএম অনেক দেরিতে হলো। তবে সামনে থেকে নিয়মিত করা হবে।’
তরফদার মো: রুহুল আমিন বলেন, ‘এজিএমে অনেক বিষয়েই অসঙ্গতি ছিল। বিশেষ করে আর্থিক রিপোর্টে। তবে আমরা সবকিছুই অনুমোদন করেছি ফুটবলের স্বার্থে। কমিটির পক্ষ থেকে আমাদেরকে কথা দেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকবে তারা।’
বাফুফের এজিএমে ৯টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের অডিটরস রিপোর্ট অনুমোদন করার পাশাপাশি ২০২০ সালের জন্য ৪১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্ভাব্য বাজেট পাস করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।