নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আর মাত্র ১৫দিন পরই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পর্দা উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসরের। আগামী ১ ডিসেম্বর গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও খেলা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর থেকে। এদিন ভলিবল ডিসিপ্লিন দিয়ে শুরু হবে নেপাল এসএ গেমসের মাঠের লড়াই। ১০ ডিসেম্বর গেমসের পর্দা নামার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের ক্রীড়াবিদরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য লড়বেন। তিন বছর পর অনুষ্ঠেয় এবাবের এসএ গেমসের খেলা হবে কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরে।
গেমসের ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২৫টিতে। যার একটি হচ্ছে উশু। বাংলাদেশের স্বর্ণপদক প্রত্যাশী ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে পাঁচটি ব্রোঞ্জ জিতলেও এবার ব্রোঞ্জ, রৌপ্যের সঙ্গে দু’টি স্বর্ণপদকও আশা করছে বাংলাদেশ উশু দল। অবশ্য এক আসর আগে ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে উশু ডিসিপ্লিনে দু’টি করে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জপদক জিতেছিল লাল-সবুজরা। এবার হারানো স্বর্ণ পুনরুদ্ধার করতে চায় তারা। ঢাকা এসএ গেমসে অলরাউন্ড ইভেন্টে মেসবাহ উদ্দিন এবং সান্দা ইভেন্টের মাইনাস ৫২ কেজি ওজন শ্রেনীতে ইতি ইসলাম স্বর্ণ দু’টি জিতেছিলেন। মাইনাস ৪৮ কেজিতে ফাহমিদা ইয়াসমিন আরজু এবং মাইনাস ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাসনা খন্দকার পেয়েছিলেন দুই ব্রোঞ্জ। কিন্তু পদকজয়ী এই চারজনের মধ্যে এখন তিনজনই নেই। শুধুমাত্র বাসনা খন্দকার রয়েছেন বর্তমান দলে। মেসবাহ এখন কোচিং পেশায় নিয়োজিত। ইতি ইসলাম খেলা ছেড়ে দিয়েছেন এবং ফাহমিদা পুরোদস্তুর সাংসারিক। বাংলাদেশের উশুকারা ঢাকার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে। তাই তো ২০১৬ সালে তাদের ভাগ্যে সোনা জুটেনি। এমনকি তখন একটি রুপাও পাননি লাল সবুজের উশুকারা। রহমতউল্লাহ কিশোর, ফরিদা পারভীন, মিলন আলী, আনিসুর রহমান ও নুর বানু এই পাঁচ ব্রোঞ্জের মালিক। তবে এবার কিছু অভিজ্ঞ আর নতুনদের নিয়ে রুপা ও ব্রোঞ্জতো বটেই, সেই সঙ্গে দু’টি স্বর্ণজয়ের স্বপ্নও দেখছেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মো: দুলাল হোসেন বলেন, ‘নেপালে আমরা অন্তত দু’টি স্বর্ণপদকের প্রত্যাশা করছি। দেশের সেরা উশুকাদের নিয়ে এবার নিবিড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করেছি। নেপালে যে ম্যাটে খেলা হবে আমরা ঠিক সেই ধরণের ম্যাটেই উশুকাদের অনুশীলন করিয়েছি। তাই বলা যায় দলের প্রস্তুতি খুবই ভালো। আশাকরি আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। উশুকারা তাদের সেরাটা দিয়ে লড়বে এবং স্বর্ণ জিতে দেশের মান বাড়াবে।’
নেপাল এসএ গেমসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ৩৫ জন উশুকাকে নিয়ে নিবিড় আবাসিক ক্যাম্প করে ফেডারেশন। প্রাথমিক ক্যাম্পে ২০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী থাকলেও এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১৭ জনে। যার মধ্যে নয় জন পুরুষ ও আট নারী উশুকা। এরা হলেন- সেলিম আহমেদ, রাসেল হোসেন, মিলন আলী, রুবেল খান, সজিব হোসেন, রাকিব হোসেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, লিটন আলী, আমির হোসেন, রিতা বিশ্বাস পুজা, সাকি আক্তার, বাসনা খন্দকার, নুর বাহার বেগম, মর্জিনা আক্তার, দিপ্তী দাস চারু, সুমাইয়া আক্তার ও ফাহমিদা তাবাসসুম লিমা।
নেপালে এবার উশুর সান্দা ও থাউলু’র ২২টি ইভেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশ। যার মধ্য থেকে দু’টি স্বর্ণ আশা করছেন কর্মকর্তারা। দীর্ঘ চার মাসের অনুশীলনে স্বর্ণের জয়ের স্বপ্ন দেখছেন নয় বছর আগে ব্রোঞ্জপদক জেতা বাসনা খন্দকারও। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার নিবিড় অনুশীলন করে পেরেছি। উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কোচ। তাছাড়া নেপালে যে ম্যাটে খেলা হবে, সেই ম্যাটেই অনুশীলন করেছি। আশাকরি এবারের এসএ গেমসে আমরা প্রত্যাশানুযায়ী পদক জিততে পারবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।