পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম নগরীতে ঘুরে ঘুরে স্বর্ণের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসাবাড়িতে চুরি করেন তিনি। এ অপরাধের জন্য রাতের আঁধার লাগে না। দিন দুপুরে সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়েন বাসাবাড়ি, দোকানে। মুহূর্তে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন তিনি। গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫০টির মত চুরি করেছেন তিনি। তবে কখনো ধরা পড়েননি। অবশেষে নগরীর হাজারী গলির একটি জুয়েলারী থেকে ১৯ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের জালে আটকা পড়েন এই চতুর চোর। তার দেখানো মতে, উদ্ধার করা হয় ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা দামের স্বর্ণালঙ্কার। চুরি বিদ্যায় পারদর্শী এ ব্যক্তির নাম মো. আমির হোসেন (৩৮)। তিনি নগরীর চান্দগাঁও মধ্যম মোহরার মৃত আবদুস সালামের পুত্র।
নগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আমির হোসেন একজন পেশাদার চোর। গ্রেফতারের পর তিনি মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১০০Ñ১৫০টি চুরির ঘটনা সংঘটন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে কোথাও কোন জুয়েলারী দোকান, মুদির দোকান খোলা দেখলে ক্রেতা সেজে ঢুকে পড়েন। এরপর দোকানদারকে ব্যস্ত রেখে কৌশলে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল চুরি করেন। পাশাপাশি কোন বাসা বাড়ির দরজা খোলা দেখলে কৌশলে হানা দিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন।
গত রোববার বিকেলে তিনি ক্রেতা সেজে নগরীর হাজারী গলির একটি জুয়েলারীতে আসেন। জুয়েলারীর শিবপদ ধরের সাথে গল্প-গুজব শুরু করেন। তিনি জানান, কিছুদিন আগে এ দোকানে তার ছেলের কাছ থেকে তিনি স্বর্ণালঙ্কার কিনেছেন। আরও বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার প্রয়োজন তার। কি কি অলঙ্কার লাগবে এবং দাম কত তা যাচাই-বাছাই করেন তিনি। পরদিন সোমবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বর্ণালঙ্কার কিনবেন বলে জুয়েলারীর মালিকের একটি ভিজিটিং কার্ডও নিয়ে যান।
পরদিন যথারীতি তিনি জুয়েলারী মালিকের মোবাইলে ফোন দিয়ে হাজারী গলির সামনে কালী বাড়ির সামনে আসতে বলেন। জানান তিনি তার জুয়েলারীর ঠিকানা ভুলে গেছেন। তাছাড়া তার সাথে একজন গর্ভবতী মহিলা থাকায় তিনি বেশি ঘোরাফেরা করতে পারছেন না। অন্যদিকে জুয়েলারী মালিক তার দোকান আর কেউ নেই জানিয়ে দোকান খালি রেখে বের হতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু তার চাপাচাপিতে তিনি জুয়েলারীর দরজা টেনে দিয়ে কালী মন্দির এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, কথিত ওই ক্রেতা বা তার সাথে থাকা মহিলা কেউই সেখানে নেই।
তাদের এদিক-ওদিক খুঁজে না পেয়ে তিনি জুয়েলারীতে ফিরে আসেন। ফিরে এসে শিবপদ ধর দেখেন দোকানের লকারের চাবি লকারের সাথে ঝুলে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি লকার খুলে দেখেন যে, লকারে রক্ষিত বিভিন্ন রকমের স্বর্ণালঙ্কার যার ওজন সর্বমোট ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি চুরি হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি কোতোয়ালী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরের খোঁজে অভিযান শুরু করেন।
একপর্যায়ে মোহরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি স্বর্ণালঙ্কার চুরির কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেখানো মতে, তার ঘর সংলগ্ন শাহ আমানত হোটেল অ্যান্ড ঝাল বিতানের ক্যাশবাক্সে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।