Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ করায় বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:১৬ পিএম

ভারতের বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইচইউ) সংস্কৃত বিভাগে এক মুসলমান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিএইচইউ কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে স্বচ্ছ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীদেরই এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বৈষম্যের উর্ধ্বে উঠে দেশ গঠনের জন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএইচইউ’র সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান অনুষদের সাহিত্য বিভাগে সম্প্রতি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খান নামে এক শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের বিরোধীতা করে ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়ির পাশে একদল শিক্ষার্থী অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে। তাদের দাবি, ওই নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

পুনিত মিশ্র নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, বিএইচইউ’র প্রতিষ্ঠাতা মদন মোহন মালভিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার্থেই এই আন্দোলন। তার দাবি, সংস্কৃত অনুষদে পাথরে খোচাই করে লেখা আছে যে, এই অনুষধে কেবল হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ ও আর্য সমাজের অনুসারীরা প্রবেশ করতে পারবে। তার বক্তব্য, আমরা ওই মুসলিম শিক্ষকের বিরোধীতা করছি না। আমরা শুধু মহামনা মালভিয়ার মূল্যবোধকে সমর্থন করছি। লড়াই করছি।

আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন শুভম তিওয়ারি নামে এক পিএইচডি গবেষক। তিনি বলেন, সংস্কৃত অনুষদে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করে। তিওয়ারি বলেন, যখন একজন ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তিনি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষকতা করবেন। এতগুলো বছর বহু শিক্ষার্থী শিখতে আসবে। তাদের ভবিষ্যত এভাবে একেবারে নষ্ট করে দেওয়া হলো।
তবে সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাম নারায়ন দ্বিবেদি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিএইচইউ’র বহু শিক্ষার্থী ও সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীরা আন্দোলনকারীদের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।



 

Show all comments
  • Yourchoice51 ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৩ পিএম says : 2
    বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কাছ থেকে ছবক নিয়েছেন; সরকারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম ব্যক্তিরা শিক্ষতা করছেন, তাদের ছাত্ররাই ইসলামের মহাপন্ডিত হচ্ছেন। তাই বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগ ঠিক আছেই বলে মনে হয় !!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ