পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাজারীবাগে আবিদ হাসান (২৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে হাজারীবাগের গজমহলের মাঝামাঝি রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শরীফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঠিক কি কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত নয় পরিবার। পুলিশ বলছে, মাদক ও মোবাইল নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, আবিদ পরিবারের সঙ্গে হাজারীবাগের ১৪৩ গজমহল এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। বড় ভাই মুন্নার সঙ্গে চামড়ার ব্যবসা করতেন তিনি। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে আবিদ দ্বিতীয়।
নিহতের বড় ভাই মুন্না বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা আবিদকে কল করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই, তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। তৎক্ষণাৎ গজমহল রাস্তায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্না বলেন, এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মামলা করেছেন। পরে পুলিশ শরীফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শরীফ নিজেই এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে তিনি এটি বিশ্বাস করছেন বলে জানান। তাছাড়া শরীফকে তাদের পরিবার সংশ্লিষ্ট কেউ চেনে না। মুন্নার সন্দেহ, শরীফ নামের ওই যুবককে দিয়ে কেউ এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব বেরিয়ে আসবে। নিহতের মামা শাহাবুদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীক কারণে আবিদকে হত্যা করা হতে পারে। তবে ব্যবসায়ীক ঠিক কি কারণে কিংবা কারো সঙ্গে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিলÑ সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এদিকে, গ্রেফতার শরীফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী। তিনি বলেন, নিহত আবিদ ও শরীফ একসঙ্গে মাদক সেবন করত। দুই বছর ধরে তাদের পরিচয়। গত ৩-৪ দিন আগে শরীফ একটি মোবাইল ফোন বিক্রি করতে আবিদকে দেয়। কিন্তু আবিদ ফোনটি বিক্রি করেছে নাকি করেনি তা জানায়নি। এদিকে বিষয়টি জানতে এবং ফোন বিক্রির টাকার জন্য বার বার আবিদকে কল করেও তাকে পায়নি। পরে গত বুধবার রাত ১১টা থেকে আবিদের বাসার নিচে অপেক্ষা করতে থাকে শরীফ। সাড়ে ১১টার দিকে আবিদ বাসা থেকে বের হলে দু’জনে কথা বলতে বলতে গজমহল রোডের দিকে যায়। এ সময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আবিদকে ধরে নিয়ে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে শরীফ। বিষয়টি আশপাশের দোকানিরা দেখে আবিদের পরিবারকে ও পুলিশকে জানায়। ওসি আরও বলেন, শরীফ জানিয়েছেÑ মোবাইলটি তার নিজের। তবে এটি চোরাই মোবাইল কিংবা এর সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।