Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদীতে জেল-জরিমানায় পড়বে বিদেশি শ্রমিক ও নিয়োগকর্তারা

ইকামা ও শ্রমবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে সতর্কতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

সউদী আরব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, ইকামার শর্ত ও শ্রমবিধি লঙ্ঘনকারী বিদেশী কর্মীরা জেল ও জরিমানার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
সউদী জেনারেল পাসপোর্ট অধিদফতরের এক বিবৃতিতে সোমবার কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, যিনি ইকামার শর্ত ও শ্রমবিধি লঙ্ঘনকারী শ্রমিকদের পরিবহন পরিষেবা দেবেন বা বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করবেন তারা কারাদন্ড বা জরিমানার মুখোমুখী হবেন। তিনি আরো বলেন, ‘যে কেউ তাদের আশ্রয় দেবে বা সরবরাহ করবে তাদের ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে’।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘যদি অপরাধী প্রবাসী হয় তবে তাকে সউদী আরব থেকে নির্বাসন দেয়ার ঝুঁকি থাকবে এবং অপরাধী বিদেশী কর্মীদের সংখ্যা অনুসারে জরিমানা ও কারাদন্ড দ্বিগুণ হবে।’
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের জেনারেল অধিদপ্তর আরো ইঙ্গিত দিয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিকরা, যারা তাদের ইকামা এবং কাজের বিধি লঙ্ঘনকারী বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করেন তারাও একই রকম অপরাধ করছে এবং তাদের জরিমানাও হবে ১ লাখ সউদী রিয়াল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরের জন্য বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞায় পড়বে এবং রাষ্ট্রের দ্বারা তারা কুখ্যাত ঘোষিত হবে। অধিকন্তু, সংস্থার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পরিচালককে এক বছরের কারাদন্ড এবং প্রবাসী হলে তাকে নির্বাসন দেয়া হবে। জরিমানার অঙ্ক অপরাধের ধরনের ওপর নির্ভর করবে’।

বিবৃতিতে নাগরিক এবং বাসিন্দাদেরকে বহিরাগতদের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অ্যাশার অ্যাপস পরিষেবার মাধ্যমে নিয়োগকর্তা অনলাইনে গৃহকর্মীর অনুপস্থিতিতে (পলায়ন রিপোর্ট) রিপোর্ট করতে পারবেন।

সউদী পাসপোর্ট অধিদফতরের জেনারেল ব্যাখ্যা করেন যে, নিয়োগকর্তা অ্যাশার অ্যাপ্লিকেশনে সাবমিট করা পালানোর রিপোর্ট বাতিল করতে পারবেন না। তবে, অভিযোগ জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তাকে প্রবাসীদের পরিচালনা পর্যালোচনা করা দরকার। সুতরাং রিপোর্ট জমা দেয়ার পর কোন বিদেশী ধরা পড়লে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত জরিমানা, অর্থাৎ ৫০ হাজার সউদী রিয়াল জরিমানা, নির্বাসন ও স্থায়ীভাবে সউদীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সাথে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড তার বিরুদ্ধে কার্যকর করা হবে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।



 

Show all comments
  • Mohammed Shahjalal ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৬ এএম says : 0
    গণহারে শূন্য হাতে ও এক কাপড়ে শ্রমিক প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকের আকামা রয়েছে। পেটের দায়ে কাজ করতে গেছেন তারা। এদেরও নিশ্চয়ই বেঁচে থাকার অধিকার আছে। প্রচুর সংখ্যক জীবিত মহিলা কর্মীর পাশাপাশি মরদেহও ফিরে আসছে। কেউ অনিয়ম করলে তাকে ফেরৎ পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু উপর্যুপরি নির্যাতন করে হত্যা করা তো কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Moh'd Sanaullah Azad ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৬ এএম says : 0
    ‌সৌ‌দি সরকার তেমন নতুন কোন আইন ক‌রে‌নি।এখন যে আইনগু‌লো আছে সেগু‌লো আগেও ছিল কিন্তুু তখন ওসব আইন এখনকার মত এত ক‌ঠোরভা‌বে ইম‌প্লি‌মেন্ট করা হ‌তোনা।এখন ওসব আইনের ক‌ঠোর বাস্তবায়‌নের জন্যই ধর-পাকড় বে‌ড়ে গে‌ছে।ফ্রি ভিসা ব‌লে কোন ভিসা নেই।‌ফ্রি ভিসাটা হল ব্য‌ক্তি মা‌লিকানাধীন যা‌কে ক‌ফিল ভিসা বলা হয়।দুতাবা‌স তথা সরকা‌রের অস‌চেতনতার জন্যই ওখা‌নের প্রবাসীরা এরূপ অযা‌চিত প‌রি‌স্থি‌তির শিকার হ‌চ্ছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Anowar Hossain Gazi ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৬ এএম says : 0
    আমি সৌদি আরবে আছি প্রায় ১৭ বছর আমি যতটুকু যানি এবং বুঝি ফ্রী কোন ভিসা নেই সব ভিসার কোন না কোন পেশা দেয়া আছে, সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী যেই পেশা সেই কাজ করতে হবে না হলে বেআইনি কাজ করে এই জন্য এত দর লোক দরে। আমি বলবো যারা সৌদি আরবে আসতে চান সবাই কে আমার অনুরোধ কে ফ্রী ভিসায় আসবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Tabarak Bhuiyan ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৭ এএম says : 0
    এই প্রথম দেখলাম ইকামা শব্দটা কেউ লিখেছে। এটাই সঠিক।
    Total Reply(0) Reply
  • Kalyan Pal ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৭ এএম says : 0
    সৌদি আরব তার শ্রম আইন বদল করেছে, তারা বুঝতে পেরেছে তেল আর কুড়ি বছর তাই নিজের দেশের লোকদের সুযোগ দিচ্ছে, বাংলাদশের মানুষদের কপালে ভবিষ্যতে কাজ না পাওয়ার কারন এই আইনটা হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Tipusultan Tipu ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৭ এএম says : 0
    জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সৌদি আরব এসে এখানে কাজে আর কথার কোনো মূল্য নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rejaul Karim ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৮ এএম says : 0
    নতুন শ্রমবাজার খোজা উচিত...সৌদির উপর নির্ভরতা করার টাইম শেষ.....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ