মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাধারণ বাজারে ১০০ ডলারে কিনতে পাওয়া যায় এমন যন্ত্র দিয়েই মেক্সিকো-সংলগ্ন সীমান্তে বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেয়াল ফুটো করে ভেতরে ঢুকছে মানবপাচারকারীরা। ফলে ডনাল্ড ট্রাম্পের বহুল প্রতিশ্রুতি দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। খবরে বলা হয়, নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই দেয়াল নির্মাণে তোড়জোড় করেন ট্রাম্প। তার প্রতিশ্রুতি ছিল, এই দেয়াল অভেদ্য। আর এই দেয়াল ভেদ করে মেক্সিকো থেকে অপরাধীরা ঢুকতে পারবে না। এই দেয়াল নিয়ে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর বিতর্ক ও হাস্যরস হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রথমে পুরোটা কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিলেও এটি বিভিন্ন অংশে স্টিলও ব্যবহার করা হয়েছে।
এই দেয়াল নির্মাণে এখন পর্যন্ত মার্কিন আয়করদাতাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন বা ১০০০ কোটি ডলার।
মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচারকারীরা লোহা চিরার করাত দিয়েই দেয়ালের স্টিল ও কনক্রিটের অংশ ফুটো করতে পারছে। এই ফুটো এতটাই বড় যে সেখান দিয়ে অনায়াসেই মানুষ ও মাদক ঢুকতে পারছে। এজেন্টরা আরো জানান, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ফুটো করার কাজ সম্ভব হয়। এ ছাড়া প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এই দেয়াল যেহেতু প্রায় ১৮-৩০ ফিট উঁচু, তাই এখানে স্টিলের ভেতর ফুটো করা সহজ। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এমন কোনো খবর শোনেননি যে, পাচারকারীরা দেয়াল ফুটো করে ভেতরে ঢুকতে পারছে। তবে তার মন্তব্য, আপনি যেকোনো বিষয় কেটে ফেলতে পারবেন। তার ভাষ্য, ‘আমাদের দেয়াল খুবই শক্তিশালী। কিন্তু সত্য বলতে কী, যতই শক্তিশালী হোক, আপনি যেকোনো জিনিসই কেটে ফেলতে পারবেন।’ তিনি এ-ও বলেছেন যে, এই দেয়াল ফুটো করা গেলেও সহজে আবার সেটা ঠিক করা যায়।
অপরদিকে মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিও লিয়াস বলেছেন, এই দেয়াল কাজ করছে না এমন কথা হাস্যকর। দেয়াল কাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো অংশে ফুটো করা হলে কাউকে পাঠানো হয় সেটা ঠিক করতে। আবার পাচারকারীরা নিজেরাও ফুটো করা অংশ এমনভাবে ঢেকে রাখে যেন বোঝা না যায় যে ফুটো হয়েছে। ফলে অনেক ফুটো করা অংশই ধরা যায় না। অনেক অংশ মেরামত করা হলেও, কাঠামো অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পাচারকারীরা সেই দুর্বল অংশই আবার কাটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।