Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গাইবান্ধায় নদী ভাঙন ব্রহ্মপুত্র-তিস্তায় নিশ্চিহ্ন

দু’শতাধিক ঘরবাড়ি

স্টাফ রির্পোটার, গাইবান্ধা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ও কাপাসিয়া এবং সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি, গো-ঘাটসহ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন চলছে। নদীর পানি কমে যাওয়ার পর থেকে এই তিনটি ইউনিয়নে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গত দু’সপ্তাহে তিন ইউনিয়নের প্রায় ২শ’ ঘরবাড়ি এবং প্রচুর আবাদি জমি নদীর বুকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হচ্ছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া, পাগলারপাড়, পুটিগ্রাম, লালচামার কাজির গ্রাম, উজান বুড়াইল, বাদামের চর, কালাইচোতা ও শ্রীপুর ইউনিয়নের চলন্ত, সারভিটা, হিন্দুপাড়া, পুটিমারী, বাবুরবাজার, কেল্লাবাড়ি, গইলবাড়ি এবং ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো হচ্ছে কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট ও কড়াইবাড়ি।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ভাঙন রোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোন সাড়া মিলছে না। অপরদিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নেও ব্যাপকভাবে তিস্তা ভাঙছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ শ্রীপুর এলাকার কিছু অংশে সিসি ব্লক দ্বারা স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিলেও অন্যান্য এলাকা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তিস্তার ভাঙনে গৃহহারা লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কিংবা অন্যান্য উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি।
কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন, তার ইউনিয়নের গো-ঘাট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও ভাঙন কবলিত কড়াইবাড়ি এলাকায় কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ওই এলাকায় ভাঙন চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, কাপাসিয়া ইউনিয়নে এখন ব্যাপক নদী ভাঙন চলছে। এ জন্য স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা যাবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘরবাড়ি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ