পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্মেলনের মৌসুম চলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর, জেলা ও উপজেলায় দলীয় আলোচনার মূল বিষয় বস্তু সম্মেলন। নেতাকর্মীদের আড্ডার বিষয় দলে নতুন কে কে পদ পাচ্ছেন আর কে কে বাদ পড়ছেন।
আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠন আগামীকাল ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর সেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়টিও নির্ধারিত হয়েছে ইতোমধ্যে, তবে তারিখ ঘোষণা হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতে, ১২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। পদ পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়েই দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, সম্মেলনে পরিবর্তন আসবে তা নিয়মিত বিষয়। প্রবীনদের জায়গায় নবীনরা আসবে তা চিরাচরিত নিয়ম। সম্মেলনের বিষয়ে একটা কথাই বলবো, স্বচ্ছ, সৎ, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত নেতারাই সব জায়গায় পদে আসবেন।
এদিকে সম্মেলন নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগেও বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগে শীর্ষ পদে আসতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাপ। মহানগর দুটির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামী সম্মেলনে আর পদে থাকছেন না বলে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা রয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন, মহানগরের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি আবুল বাশার, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, নুরুল আমিন রুহুল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলিপ রায়, প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, সাবেক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজের ছেলে, মহানগর দক্ষিণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ওমর বিন আব্দুল আজিজ তামিম।
এছাড়াও থানা নেতাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ। গতবার লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে সরাসরি মহানগর সভাপতি হয়েছিলেন আবুল হাসনাত।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম অবিভক্ত মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে মহানগরের উপদেষ্টা। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ আবারও পদে আসার চেষ্টা করছেন। তিনি এবার সভাপতি হতে চান। সাবেক ত্যাগী ছাত্র নেতা হিসেবে দলের জন্য অবদান রয়েছে এবং এক এগারোর সময় দলের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। শাহে আলম মুরাদ ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যেখানে দায়িত্ব দিবেন আমি তাতেই খুশি।
সহ-সভাপতি আবুল বাশার অরিজিনাল ঢাকাইয়্যা হিসেবে পরিচিত। তিনি রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। মহানগরের রাজনীতিতে ভাল অবস্থান রয়েছে তার। আরেক সহ-সভাপতি ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুময়ুন কবিরও আদি ঢাকাইয়্যা হিসেবে বেশ পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার। হুমায়ুন কবির ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সুন্দরভাবে পালন করেছি। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বাছাই করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম এম এ আজিজের বড় ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দাল আজিজ তামিম তরুণ নেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন। লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনকারী এ নেতা বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদে আছেন। তার দাদা মরহুম পিয়ারো সরদার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে প্রথম শহীদ মিনার তৈরী করেছিলেন। পুরান ঢাকাইয়্যা ও তরুণ নেতা হিসেবে মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের আলোচনায় রয়েছেন তিনি। তামিম ইনকিলাবকে বলেন, যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল অন্যতম। বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলা করতেও মহানগর ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারাও নড়ে চড়ে বসছেন। সম্মেলনের আলোচনায় নেতারা বেশ সক্রিয় ও তৎপর হয়ে উঠেছেন। এখানে সভাপতি হিসেবে আলোচনায় আছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সহ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ কাদের খান। এছাড়াও মহানগরের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আসলামুল হক সভাপতি হতে পারেন বলে আলোচনায় আছে। সাধারণ সম্পাদকের আলোচনায় আছেন মহানগরের দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, হাবিব হাসান। দুইজনই ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও আলোচনায় আছেন উপ-প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক রানা।
শেখ বজলুর রহমান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ও দুইবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব তিনি।
এস এম মান্নান কচি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান ১৯৮৮ সালে হরিরামপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরপর বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। ঢাকা মহানগর ভাগ হলে তিনি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠন গতিশীল হবে। যারা বিতর্কিত, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা কেউ পদে আসবে না।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।