মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিদ্রোহকবলিত উত্তরপ‚র্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে বোমা বিস্ফোরণে তিন বিএসএফ জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের প‚র্ব দিকের জেলা তেলিপাতিতে এই ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রিমোট কট্রোলের মাধ্যমে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের একই জেলায় জেএন ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স-এ ভর্তি করা হয়। বোমা বিস্ফোরণের দায় এখনো কোন গোপন সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়নি। তেলিপাতিতে পুলিশের একটি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে। এখানে বিহার থেকে আসা লোকজনের প্রাধান্য রয়েছে। বোমা হামলার ব্যাপারে মামলা করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি। অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিদ্রোহ কবলিত উত্তর-প‚র্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের মধ্যে নাগাল্যান্ড ও মনিপুর এখনো নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে আছে। যদিও ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে গোটা উত্তরপ‚র্বাঞ্চলে বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনা ৬৬% কমেছে বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বেশ কিছু সক্রিয় বিদ্রোহী গ্রæপের আবাসস্থল মনিপুর এখনো সবচেয়ে সহিংস রাজ্য। সাত রাজ্যে যত বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছে তার ৫০ শতাংশই ঘটেছে এই রাজ্যে। আলোচ্য সময়ে গোট অঞ্চলে যেখানে ২৫২টি বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনার ঘটে, সেখানে শুধু মনিপুরেই ঘটেছে ১২৭টি। এর মধ্যে ৫৭ শতাশংশ ঘটনায় মেইতেই বিদ্রোহীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করে। একই সময়ে এ রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ১০ বিদ্রোহীকে হত্যা, ৪০৪ জনকে গ্রেফতার ও ৯৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই অঞ্চলে নাগাল্যান্ড হলো একমাত্র রাজ্য যেখানে ২০১৮ সালে বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রাজ্যে এনএসসিএন-আইএম, এনএসসিএন (কে) ও এসএসসিএন (এনকে)’র মতো বিদ্রোহী গ্রæপ সক্রিয় রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও বিভিন্ন এনএসসিএন উপদল জাতিগত সহিংসতা ও অন্যান্য সংঘাত/অবৈধ তৎপরতা অব্যাহত রাখে, যা রাজ্যের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। ২০১৮ সালে সহিংস ঘটনা ও অপহরণ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আলোচ্য বছর বিদ্রোহদমন অপারেশনে চার বিদ্রোহী নিহত হয়। এছাড়া ১৮১ জনকে গ্রেফতার ও ৬৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ভারতের নিরাপত্তা মানচিত্রে উত্তরপ‚র্বাঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর ও নক্সাল অধ্যুষিত তিনটি অঞ্চল নিয়ে সরকার এখনো বিচলিত। উত্তরপ‚র্বাঞ্চলে ২০১৮ সালে আগের বছরের তুলনায় বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনা ১৮ শতাংশ কমেছে। এখানকার বড় বড় বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এবং অনেকগুলো শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিদ্রোহ-সংশ্লিষ্ট ঘটনা মেঘালয়ে ৪৮ শতাংশ, অরুনাচল প্রদেশে ৪০%, আসামে ১৬ শতাংশ ও মনিপুরে ২৪ শতাংশ কমেছে। অরুনাচল প্রদেশে সক্রিয় স্থানীয় কোন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নেই। কিন্তু আশেপাশের রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ তৎপরতার প্রভাব পড়ছে এখানে। নাগাল্যান্ড ও আসামের বিদ্রোহীরা প্রায়ই এই রাজ্যের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের শিবিরগুলোতে যাওয়া আসা করে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।