Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতকে হারিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাসের মাঝে গর্জন বাংলাদেশ জুড়ে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৩৯ এএম

ভারত সফরে আসার আগে বাংলাদেশ টিমে একের পর এক নাটকীয় পট পরিবর্তন। ভারত সফরে এসেও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে দেশে থাকাকালীন দলের অন্দরে একের পর এক নেতিবাচক ঘটনা মুশফিকুরদের মনে যতটা ছাপ ফেলেছিল, এ দেশে পা রাখার পর ঠিক তার উল্টোটাই ঘটল বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে। একেই বোধ হয় বলে ঘুরে দাঁড়ানো। রবিবার, দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচটা সাত উইকেটে জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম কোনও টি২০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটাও স্পর্শ করে ফেললেন মুশফিকুররা।

অথচ ভারতে পা রাখার আগে পর্যন্ত একের পর এক বিতর্ক তাড়া করে বেড়িয়েছে দলটাকে। বাংলাদেশ দলে বেতন নিয়ে বিদ্রোহ। বুকিদের কথা গোপন করে শাস্তির কোপে সাকিব আল হাসান। মাঠের বাইরে তামিম ইকবাল। আর দুঃসহ দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে এর আগে আটটি টি২০ ম্যাচ জিততে না পারার স্মৃতি। রবিবার এ সব কিছুর যেন ট্রিবিউট হয়ে রইল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের রূপকথাটা। প্রবল স্নায়ুচাপ সামলে ঠান্ডা মাথায় নিজেদের ড্রেসিংরুমেই ম্যাচটা নিয়ে চলে গেল বাংলাদেশ।


একে ভারতের মতো প্রবল প্রতিপক্ষ। তার উপর হোমগ্রাউন্ডেই মেন ইন ব্লু-দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। দূষণের কারণে স্বস্তি ছিল না অনুশীলনেও। তবুও, সেই লড়াই নিয়ে উৎসাহের যেন অন্ত ছিল না। কী ঘটবে মাঠে? এ নিয়ে পদ্মার এ পারের চেয়ে ও পারেই উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি ছিল। মনে সংশয়, মুখে, কী হয় জিজ্ঞাসা। শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি২০-র হাজার তম ম্যাচটি পকেটে পুরে নিল তারা। আর সেই জয় উৎসর্গ করা হলো দলের দুই অগ্রজ সাকিব আর তামিমকে। সৌম্য সরকারের মুখে এ দিন উঠে এসেছে টিম বাংলাদেশের কথা। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে শান্তশিষ্ট ছিল। আমরা সবাই ইতিবাচক চিন্তা করছিলাম। তামিম ও সাকিব সিনিয়র খেলোয়াড়। আমরা এই জয়টা তাদের উৎসর্গ করতে চাই।’

খেলোয়াড়দের মতো অস্বস্তি তাড়া করে বেড়াচ্ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি সমর্থককেও। তাই মুশফিকের শেষ ছক্কায় যখন জয় নিশ্চিত হয়ে গেল তখন আবেগে যেন কিছু থরথর করে কেঁপে উঠেছিল গোটা ঢাকা। সেই প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেই তীব্র জয়োল্লাসে ফের এক বার কেঁপে উঠেছে শহরটা। বিগত ৮ বারের পরাজয়ের পর তিন ম্যাচের সিরিজের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া। তাও আবার হাতে ৭ উইকেট রেখে। খবর শুনেই এ দিন মিছিল বেরোয় পাড়ায় পাড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী ভাস্কর্যের পাদদেশে জাতীয় পতাকা হাতে দেখা গিয়েছে ছাত্রদের।এমনকি পথ চলতি অচেনা মুখ দেখে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই অনেকের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে, ‘ভাই আমরা জিতে গিয়েছি।’ জয়ের খবর শুনে হর্ন বাজিয়েও সেলিব্রেট করেছেন গাড়ি বা অটোর চালকরা, এ দৃশ্যও এ দিন দেখা গিয়েছে ঢাকায়।

নিষেধাজ্ঞার দেওয়ালে বন্দি সাকিব। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম থেকে এখন অনেকটা দূরে তিনি। কিন্তু, মন পড়ে মাঠে। ফেসবুকে সতীর্থদের অভিনন্দন জানিয়ে সাকিব লিখেছেন, ‘চাপের মুখে দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্স! অভিনন্দন বাংলাদেশ! তোমরা এই জয়ের মাধ্যমে দেশকে এনে দিয়েছো একটি গৌরবময় মুহুর্ত।’


ভারত- বাংলাদেশ টি টুয়েন্টি ম্যাচের দিকে নজর ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। খেলা শেষ হতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে তারা আরও ভালো খেলে দেশের জন্য সম্মান আর্জন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তুমুল জয়ধ্বনির মাঝেই গোটা দেশ বলছে, জিতেছি, আবার জিতব। -আনন্দবাজার



 

Show all comments
  • dr. m. islam medicine deptt. king saud university saudi arab. ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:২৩ পিএম says : 0
    if rohinga peoples are shifted in basan char it will create a permanent CANCER for our country. they will never leave this country! they will contaminate the nation. they are muslim by name only! very tuft creature! i konw them! 100% are addicted, connected with YAVA. they have no social bond nor religious boundry! i will request our prime minister HE SHEIK HASINA to think about this burning issue with her foresightness.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ