Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে দিঘার হোটেলে চুরি, সর্বস্ব খোয়া গেল পর্যটকের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:০৭ পিএম | আপডেট : ৫:২১ পিএম, ২ নভেম্বর, ২০১৯

ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে দিঘার হোটেল থেকে চুরি। নগদ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গিয়েছে পর্যটকের। হোটেল কর্তৃপক্ষ চুরির ঘটনায় জড়িত বলেই অভিযোগ বাগুইআটির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির। দিঘা কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

৩০ অক্টোবর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ওল্ড দিঘায় যান বাগুইআটির বাসিন্দা সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যারিস্টার কলোনির ডলফিন হোটেলে ওঠেন তাঁরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ ঘুম ভাঙে সুদীপবাবুর। তিনি দেখেন, ঘর থেকে কেউ বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে গোটা ঘর। তাঁদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা এবং বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীও উধাও। স্ত্রী এবং দুই মেয়েও ঘুম থেকে উঠে পড়েন। তাঁরাও দেখেন ব্যাগে থাকা বহু জিনিসই নেই।

সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঘরের পাশে বারান্দা লাগোয়া গাছ দিয়ে উপরে উঠে পড়ে বেশ কয়েকজন। এরপর ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে তারা। ঘরে ঢুকে নগদ প্রায় ২০-২২ হাজার টাকা লুট করে ওই দুষ্কৃতীরা। নানা দামী সামগ্রীও চুরি করে নেয় তারা।” গোটা ঘটনা হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান ওই পর্যটক। তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সন্ধেবেলা আশপাশের এলাকায় ঘুরে হোটেলে চলে আসি। নিজের বাড়ি তো নয়, তাই ঘরে ঢুকেই দরজা ভাল করে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তারপরেও কীভাবে চোর ঢুকল? হোটেল কর্তৃপক্ষের মদত না থাকলে এই চুরির ঘটনা ঘটতেই পারে না।”

শুক্রবার সকালে দিঘা কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পর্যটক। এই চুরির ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি। ছুটি কাটাতে এসে এমন দুঃসহ অভিজ্ঞতার শিকার হতে হবে তা ভাবেননি গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের কেউই। কীভাবে দিঘা থেকে বাড়ি ফিরবেন সেই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। বছরের বেশিরভাগ সময়ই পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে দিঘা। জমজমাট পর্যটনস্থলে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত পর্যটকরা। তাই সমুদ্রনগরীর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ