পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবরার হত্যার সাথে জড়িত আসামিরা মদ্যপ ছিল বলে আমাদের তদন্তে পাওয়া যায়নি। মদ্যপানের কারণে বা নেশাগ্রস্ত হয়ে তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে তদন্তে মনে হয়নি। আর সাক্ষীতেও মদ্যপানের কথা আসেনি। তাই আসামিরা মদ্যপ ছিল বলে শাস্তি লঘু হবার কোনো সুযোগ নেই। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’র আয়োজনে আবরার হত্যাকান্ড নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
তিনি আরো বলেন, আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বস্তুনিষ্ঠ, নির্ভূল, শুদ্ধ ও পেশাদারিত্বের সাথে চার্জশিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রদান করা হবে। হত্যাকারীদের কেউই এখন কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বিধায় এর তদন্তে কোন রাজনৈতিক প্রভাব নেই। বরং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যে রুমে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে সেই রুমে সিসিটিভির ফুটেজ না থাকলেও, কারা প্রকৃত অপরাধী তদন্তে তা রেরিয়ে আসবে। যা চার্জশিটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। আবরার হত্যার সময় পুলিশ মূলত তথ্যের অপর্যাপ্ততার বাধার সম্মুখীন হয়েছে। উপযুক্ত তথ্য পেলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। আবরার কখন প্রাণ হারিয়েছে সেই রকমের কোন তথ্যই পুলিশের কাছে ছিলো না। বুয়েটে পুলিশ কখন গিয়েছে, কি পদক্ষেপ নিয়েছে সবই চার্জশিটে অন্তর্র্ভূক্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। পরে জানা যায় তারা সবাই ওই মামলার আসামি। হত্যা মামলায় ১৯ জন আসামির বাইরেও তদন্তে বেশ কয়েকজনকে জড়িত পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত আমরা গ্রেফতার করেছি ২১ জনকে। এদের মধ্যে অনেকেই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল সেটা আসামিরা বলেছে। রাজধানীতে প্রতি মাসে অন্তত ২০টি হত্যাকান্ড হয়। এগুলো অরাজনৈতিক। পারিবারিক, প্রেম-ভালোবাসা এসব হত্যাকান্ডের কারণ। এগুলো কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। এগুলো সাধারণত মূল্যবোধের বিষয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি’র প্রধান বলেন, এমন অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা রয়েছে যেখানে রাজধানীতির কোনও প্রভাব নেই। যেমন হলি আর্টিজান হামলা ও নুসরাত হত্যা। যেখানে আসলে রাজনীতি বা ছাত্র রাজনীতির কোনও দায় নেই, দায় মূল্যবোধের। ছাত্র রাজনীতি নয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই আবরার হত্যাকান্ড শীর্ষক এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তেজগাঁও কলেজকে হারিয়ে সরকারী বাঙলা কলেজ বিজয়ী হয়। উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।