Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চায় জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মঙ্গলবার ‘তীব্র উদ্বেগ’ জানিয়েছে ইউনাইটেড নেশান্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএনএইচসিএইচআর)। দখলকৃত এলাকায় মানবাধিকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ইউএনএইচসিএইচআর-এর মুখপাত্র রুপার্ট কোলভাইল এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি “ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করায় চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এবং আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি যাতে তাদের মৌলিক অধিকারগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে ফিরিয়ে দেয়া হয়”। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার সংবিধান থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের মর্যাদা বাতিল করেছে এবং ওই এলাকাকে দুটো কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছে, যে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে”। সেখানে চরম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, “এই বিধিনিষেধ যদিও সামান্য শিথিল করা হয়েছে, তবে তাদের অধিকারের উপর এই বিধিনিষেধের প্রভাব এখনও অনুভূত হচ্ছে”। ইউএনএইচসিএইচআর বলেছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরে অঘোষিত যে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেটা কিছু দিন পর জম্মু ও লাদাখ এলাকা থেকে তুলে নেয়া হলেও কাশ্মীর উপত্যকার বিরাট একটা অংশে এখনও সে অবস্থা বজায় রয়েছে। ফলে মানুষের স্বাধীন চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে, তাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়েছে, “ওই এলাকায় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের উপর ছড়ড়া গুলি, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে এ সব হামলায় অন্তত ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ মারাত্মক আহত হয়েছে”। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে যে, তারা আরও তথ্য পেয়েছেন যে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে সশস্ত্র কিছু গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে এবং যারা স্বাভাবিক ব্যবসা পরিচালনা বা স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাদেরকে তারা হুমকি দিচ্ছে। সশস্ত্র গ্রুপগুলোর দাবি না মানায় মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হচ্ছে বলেও জানতে পেরেছে তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে এই সব সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কথিত হামলায় আরও অন্তত ছয়জন নিহত এবং ডজনাধিক আহত হয়েছে বলে সংস্থাটি জানতে পেরেছে। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ