মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বলছে, তারা কয়েকডজন সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছিলেন একটি নৌযান থেকে। কিন্তু সরকারি বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে চালানো হামলায় অপহরণকৃতদের অধিকাংশই মারা গেছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। রোববার আরাকান আর্মির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপহরণকৃত সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের তিনটি নৌকায় করে একটি স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় সরকারি হেলিকপ্টার থেকে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে অপহৃতদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে যায়। সরকারি বাহিনীর এই হেলিকপ্টার হামলায় অপহৃতরাসহ আরাকান আর্মির অনেক সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। তবে আরাকান আর্মির এই দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে গত শনিবার টহলরত নৌযানে হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের অন্তত ৫৮ সদস্যকে অপহরণ করে দেশটির জাতিগত এই রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা। রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে উত্তরের বুথিডংয়ের দিকে ১৬৫ বেসামরিক নাগরিক ও ৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা বহনকারী একটি নৌযানে আরাকান আর্মির অন্তত ৩০ সদস্য সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের অপহরণ করে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। রোববার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃতদের উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সময় স্থলভাগ থেকে ছোড়া গুলিতে হেলিকপ্টার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্রু সদস্যরা আহত হয়েছেন। তবে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দুই সপ্তাহ আগে রাখাইনে দেশটির একটি খেলোয়াড় দলের বাসে হামলা চালিয়ে এক ডজনের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা। এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের অপহরণের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারের এই রাজ্যে ২০১৭ সালের আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযানের মুখে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা দীর্ঘ তদন্তের পর বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান পরিচালনা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে আরাকান আর্মি একটি নদীর তীরে অবস্থান নেয়। ওই নদীতে রাজ্যের রাজধানী থেকে উত্তরে অফ-ডিউটিতে ছিল একটি ফেরি। তাতে ছিল পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। এ সময় তাতে গুলি ছোড়ে বিদ্রোহীরা। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জওয়া মিন তুন বলেন, এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ফেরিটির ডকে চলে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় তাদের কমপক্ষে ৪০ জনকে ফেরি থেকে নেমে যেতে বাধ্য করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ১০ জন সেনা সদস্য। ৩০ জন পুলিশ ও দু’জন স্টাফ। পরে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এএফপি, দ্য ইরাবতি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।