Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্বাধীনতার দাবিতে বার্সেলোনার রাজপথে সাড়ে ৩ লাখ বিক্ষোভকারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৫৫ পিএম

আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে বার্সেলোনার রাজপথে নেমেছেন সাড়ে তিন লাখ মানুষ। স্পেনের আদালতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী নেতাদের কারাদন্ড ঘোষণার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে অঞ্চলটির প্রধান শহর বার্সেলোনা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবারের বিক্ষোভ থেকেও আটক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
২০১৭ সালে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজনে ভূমিকার জন্য গত ১৪ অক্টোবর (সোমবার) অঞ্চলটির ৯ স্বাধীনতাকামী নেতাকে কারাদন্ড দেয় স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। আদেশে তাদের ৯ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের পরই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে কাতালানরা। এখন পর্যন্ত কাতালানদের স্বাধীনতার দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬০০ জন আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই শতাধিক। আয়োজকরা বলছেন শনিবারের শান্তিপূর্ণ মিছিল আসলে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি। রবিবার আরেকটি গণমিছিল হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনগুলোও রাজপথে নেমে আসে। শহরের ওয়াটারফ্রন্ট থেকে মানুষের ঢল শুরু হয়। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক আন্দোলনকারী বলেন, এখন আসলে বসে আলোচনার সময়। আমরা এর কোনও সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। আমরা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে বিরক্ত ও হতাশ। আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি।'
শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে। ফ্রান্সগামী প্রধান যান চলাচলের রাস্তাও বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা রেলপথে অবস্থান নেয়। বার্সেলোনার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ সাগ্রাদা ফ্যামিলি চার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গির্জাটির প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, আঞ্চলিক সরকারের নেতা কুইম তোরার পূর্বসূরি চার্লস পুজদেমন ২০১৭ সালে স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজন করেন। স্পেনের শীর্ষ আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই গণভোট আয়োজনের পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ অন্যরা সেখানকার আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে। এরই মধ্যে চার হাজারেরও বেশি কোম্পানি কাতালোনিয়ার বাইরে তাদের সদর দফতর সরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাতালান ব্যাংক কাইক্সা ব্যাংক ও ব্যাংকো সাবাডেল। দেশটির ভারপ্রাপ্ত অর্থনীতিমন্ত্রী নাদিয়া কালভিনো বলেছেন, কাতালোনিয়া’র স্বাধীনতা দাবির প্রভাব না থাকলে দেশের অর্থনীতির গতি আরও দ্রæত হতে পারতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ