Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে তিনি প্রধান শিক্ষক!

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:২০ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নয়াহাট ভিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহানুর হোসেনের বিরুদ্ধে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জাল শিক্ষা সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরী করার এবং বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ¯িøপের ১লাখ ৫হাজার টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন আবুল কালাম নামের ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

এই সব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নয়াহাটা ভিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন ১৯৭৮ সালে নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক শাখায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ১৯৮০ সালে বাউফল কলেজের মানবিক শাখা থেকে তৃতীয় বিভাগে উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন। আর এই সনদ দিয়েই তিনি নয়াহাট ভিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করে আসছেন।

কিন্তু রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করনের পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে হলে শিক্ষা সনদের যে কোন একটিতে নূন্যতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়। কিন্তু মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন প্রধান শিক্ষক পদে পদান্নিতি পেতে তার দুটি শিক্ষা সনদ ঘসামাজা করে তৃতিয় বিভাগের স্থলে দ্বিতীয় বিভাগ সৃজন করে পদোন্নতি নিয়েছেন এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন, ভাতা ও সুবিধা ভোগ করে আসছেন।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজের জন্য ¯িøপের বরাদ্ধকৃত ১লাখ ৫হাজার টাকা দেয়া হয়। ¯িøপের ওই টাকার সিকিভাগ কাজও না করে স্থাণীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সাথে যোগসাজসে বিলভাউচার দাখিল করে টাকা আত্মসাত করেছে এমন অভিযোগও আবুল কালামের।

এ বিষয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “১লাখ ৫হাজার টাকার কাজের ভাউচার চেয়েছি। সে তা করে দিয়েছে। কাজটি তদারকির বিষয়ে প্রশ্ন করলে, সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি”।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহানুর হোসেন বলেন, “কোন অনিয়ম করিনি জুন কোলোজিংয়ের কারনে কাজটি করতে সমস্যা হয়েছে। যে কাজ বাকি আছে তা করে দিবো। তবে কমিটির দ্ব›দ্ব রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। আর সনদ জালিয়াতির বিষয় আমার জানা নেই। আমি কোন জাল সনদ দিয়ে পদোন্নতি নেইনি।”

এবিষয়ে বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তদন্তের স্বার্থে তার মূলসনদ জমা দিতে বলা হয়েছে। ¯িøপের টাকার কাজটি ভালোভাবে হয়নি। তাকে কাজের টাকা ফেরত দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটুয়াখালী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ