বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়লেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস।
মূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলীয় আদর্শ থেকে 'বিচ্যুতির' অভিযোগ এনে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বামপন্থি এই নেতা।
মঙ্গলবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর সদস্যপদ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বিমল বিশ্বাস।
ওই চিঠিতে দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেছেন, ওয়ার্কার্স পার্টি গণতন্ত্রের চর্চার নামে অগণতান্ত্রিক পথেই পরিচালিত হচ্ছে। তার (বিমল) সঙ্গে যে আদর্শিক, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পার্থক্য- সেটা দূরীভূত হওয়ার নয়। তাই প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন তিনি।
জানতে চাইলে বিমল বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননকে বিষয়টি টেলিফোনেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কসবাদ ও লেনিনবাদভিত্তিক কমিউনিস্ট আদর্শ থেকে অধঃপতিত একটি নেতৃত্বের অধীনে কেউ পার্টি করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না। ওয়ার্কার্স পার্টি এই আদর্শের অধিকার হারিয়েছে। এই কারণে দল ছেড়েছেন তিনি।
দল ছাড়লেও বিমল বিশ্বাস তার চিঠিতে শ্রমজীবী মানুষের শ্রেণিসংগ্রামের ভিত্তিতে কমিউনিস্ট ঐক্য ও বাম ঐক্য গড়ে তোলার 'দৃঢ় প্রত্যয়' ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মূল নেতৃত্বের বিচ্যুতির বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরে কথা বলেছেন।
২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এবং ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল দলের পলিটব্যুরোর সভায় তিনি অব্যাহতিও চেয়েছিলেন। তবে দলীয় সভাপতি বলেছেন তিনি না-কি তার কথা বুঝিয়ে বলতে পারেননি। দলের আসন্ন কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত 'ফোরাম'-এ নির্ধারিত শব্দসীমার মধ্যে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
বিমল বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে ওয়ার্কার্স পার্টির মূল নেতৃত্ব মার্কসবাদ-লেনিনবাদের কথা বলে, কিন্তু কাজ করে আদর্শের বিরুদ্ধে। কৌশলের নামে নীতিকে জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৌশলগত যে ঐক্য, তাকে কাজে লাগানো হয়েছে এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সদস্যপদের ধারাগুলোকে পদদলিত করে এবার ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাকে তাকে সদস্যপদ দিয়ে পার্টির শক্তি বৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া দল ও শ্রেণি গণসংগঠনের আন্তঃসম্পর্ক, ফান্ড পলিসি ও ক্যাডার পলিসিসহ অনেক ব্যাপারেই মতপার্থক্য রয়েছে।
আগামী ২ থেকে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেস সামনে রেখে দলের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক নানা বিরোধ ও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর জেরে দলটি আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এই বিরোধের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই বিমল বিশ্বাস দলটি ছাড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।