Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যানসারের উপাদান থাকায় বেবি পাউডার বাজার থেকে উঠে যাচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:৩৮ পিএম

মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি বেবি ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান অ্যাসবেস্টস থাকায় বাজার থেকে সেসব পণ্য তুলে নেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমীক্ষার প্রতিবেদনে পর এমন পদক্ষেপ নিল কোম্পানিটি।

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি বেবি ট্যালকম পাউডারে পাওয়া গেছে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের গুঁড়া। যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার জেরে বাধ্য হয়েই মোট ৩৩ হাজার বেবি পাউডারের কৌটা বাজার থেকে তুলে নিল তারা।

মার্কিন স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, এই প্রথম জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গেছে। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি বেবি পাউডারে যে অ্যাসবেস্টস পাওয়া গেছে তার মাত্রা অত্যন্ত কম। কিন্তু তাতেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাইতো তারা এসব বেবি পাউডার বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয় জনসন অ্যান্ড জনসনকে।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এক লটেরই মোট ৩৩ হাজার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে কোম্পানিটি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরো ব্যপারটি খতিয়ে দেখছে। যদিও কোম্পানিটি তাদের পণ্যে কোনও অ্যাসবেস্টস নেই এখনও দাবি করে যাচ্ছে।

যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। যতদিন না প্রমাণিত হচ্ছে বেবি ট্যালকম পাউডার পুরোপুরি অ্যাসবেস্টস মুক্ত, ততদিন যে লটের পণ্যে ক্ষতিকারক পদার্থটি পাওয়া গেছে সেই লটের সমস্ত পণ্য বাজার থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে।

তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতেও একাধিকবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে গোটা বিশ্বে কোম্পানিটির পাউডারের ব্যবসা। কিন্তু এমন খবর জানার পর প্রতিনিয়ত তাদের শেয়ারে দরপতন হচ্ছে।

এদিকে এই পরীক্ষার রিপোর্ট তারা মেনে নিতে পারছেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোম্পানির মেডিক্যাল সেফটি বিভাগের প্রধান ড. সুসান নিকোলসন। এক মাস আগেই নিজেদের প্রোডাক্ট পরীক্ষা করে সেখানে কোনও অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

অন্যদিকে নতুন এই ধাক্কায় জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির শেয়ারদর ৬ শতাংশ কমে গেছে। ১৩০ বছরের পুরনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম ধাক্কা নয়। এর আগেও বেবি পাউডার, ওপিওয়েড, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং অ্যান্টিসাইকোটিক রিস্পারডালের মতো ওষুধ নিয়ে বিতর্কে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে এই ধরনের ১৫ হাজার মামলা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ