বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে ১৫বছরের এক পোশাক কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনার পর থেকে ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। তবে ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাসে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষিতা পাগল’ আখ্যায়িত করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।
শুক্রবার রাতে সাভার সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন তালতলা মহল্লার জামালের ভাড়া নেয়া বাড়িতে এধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক তারা মিয়া (৫০) চাঁপাইন এলাকার রজব উদ্দিনের পুত্র। সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চাচা হাফিজুর মন্ডল জানান, ভাবী মঞ্জুয়ারার সাথে তারা মিয়ার অবৈধ সর্ম্পক রয়েছে। জানাজানি হওয়ায় গত এক মাস আগে ভাই আহালু মন্ডল ভাবীকে ডির্ভোস দেন।
তিনি আরও বলেন, রাতে কিশোরী ভাতিজি একাই ঘরে ছিল। পরে কৌশলে তারা মিয়া ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
শনিবার সকালে বিচারের আশ্বাস দিয়ে সাভার সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন ধর্ষিতা কিশোরী ও তার চাচাকে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধমকি দেন এবং কিশোরীকে পাগল বলে আক্ষায়িত করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষক তারা মিয়া আওয়ামীলীগ কর্মী এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন রানার অনুসারী।
এদিকে ধর্ষনের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ধর্ষক তারা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন রানা বলেন, আমি শুনে তাদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা বলছে মামলা করবে তাই আমি আর কিছু বলিনাই। তবে তাদের হুমকি ও ধর্ষিতাকে পাগল বলার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাকারিয়া হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।