মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। প্রায়ই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দু দেশের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে থাকে। এই অবস্থায় নিজেদের নাম পাল্টাতে অস্থির হয়ে পড়েছেন ‘পাকিস্তান’য়ের বাসিন্দারা।
কি ভাবছেন ইমরান খানের দেশ পাকিস্তান তাদের নাম পাল্টাতে চাচ্ছেন। আরে না, এটা সেই পাকিস্তান নয়। ভারতের বিহার রাজ্যের এক গ্রামের নাম পাকিস্তান। কিন্তু সেই গ্রামের বাসিন্দারা এখন আর ‘পাকিস্তানি’ হিসাবে পরিচিত হতে চায় না। তাই তারা সরকারের কাছে গ্রামের নাম পাল্টানোর আবেদন করেছেন।
রাজধানী বিহার থেকে ৩শ কিলোমিটার পশ্চিমে পুর্নিয়া জেলায় অবস্থিত পাকিস্তান নামক গ্রামটি। নাম পাকিস্তান হলেও এখানে একজন মুসলিমও নেই। ফলে গ্রামটিতে নেই কোনো মসজিদও। সব মিলিয়ে গ্রামের জনসংখ্যা ১২শ, যার বেশির ভাগই উপজাতি।
গ্রামের বাসিন্দা অনুপ লাল তাড্ডু শুক্রবার স্থানীয় এক প্রতিনিধিকে বলেন, ‘পাকিস্তান নাম নিয়ে আমরা বড় বিপদে আছি। এ গ্রামের ছেলেদের কাছে অন্য গ্রামের কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। পাকিস্তানি বলে অনেকেই আমাদের খেপায়, অপমান করে। অথচ পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের তো কোনো সম্পর্কই নেই।’
গঙ্গা টাড্ডু নামে আরেকজন বলেন, ‘পাকিস্তান যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে আগুন ছড়াচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাতে আমাদের ধৈর্য্য শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া নামটির কারণে প্রতিবেশীদের সাথেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা পাকিস্তানের বাসিন্দা হিসাবে আর চিহ্নিত হতে চাই না।’
এ সম্পর্কে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, তারা গ্রামবাসীদের আবেগের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব ‘পাকিস্তান’ নামটি বদলে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
গ্রামবাসীরা আরো জানান, এক সময় প্রতিবেশী দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ভালবাসা এবং সৌহার্দের সম্পর্কে প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হতো এই পাকিস্তান গ্রামটি। কিন্তু বর্তমানে এই নামের কারণেই তাদের ঘৃণার চোখে দেখছে ভারতের অন্য অংশের মানুষেরা।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত বিভাগের সময় তৎকালীন ইসলামপুর জেলার অন্তর্গত এই গ্রামটিকে ‘পাকিস্তান’ নামে অভিহিত করা হয়েছিলো। গ্রামটি ছেড়ে আসা মুসলিম গ্রামবাসীদের স্মরণে এরকম নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এ নামটি দ্রæত বদলে ফেলতে চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা।
সূত্র: গালফ নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।