Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বনাথে যুবতী আত্মহত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী জাহাঙ্গীরসহ গ্রেফতার-৩

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:২৯ পিএম

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে যুবতী আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী জাহাঙ্গীর আলম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি হচ্ছে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর উপজেলার লামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯। এর আগে গত সোমবার রাতে নিহত পপির বোন জামাই একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাকে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ এবং গত মঙ্গলবার রাতে মামলার অপর আসামী একই গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে জাহেদ (২২)’কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তবে মামলার অপর আসামী তেতলী চেরাগী গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে বারিক মিয়া (৩৭) এখনো পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেনের প্রেক্ষিতে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গ, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম (১৯) বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। গত (১০অক্টোবর) লালটেক তার (পপির) নিজ বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছিল বিশ্বনাথ থানার পুলিশ। ধারনা করা হয়েছিল মেয়েটি আত্নহত্যা করেছে। কিন্তু মেয়ের মা তার ভ্যানেটি বেগে একটি চিরকুট খুজে পাওয়ায় আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।

পপি গত (৬অক্টোবর) রবিবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের চেরাগী গ্রামে তার বড় বোনের স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে রাতে তাকে গণধর্ষন করা হয়। ধর্ষন শেষে মেয়েটিকে বখাটেরা তার বোনের বাড়ির অদূরে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে চেরাগী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক মেয়েটিকে রাস্তায় পেয়ে তার বোনের বাড়িতে পৌছে দেয়। গুরুতর অসুস্থ মেয়েটি তখন কোন কথা বলতে পারেনি। তার পর বড় বোনের স্বামী ফয়জুল ইসলাম ওই দিন পপিকে তার পিত্রালয় লালটেক গ্রামে পৌছে দেয়। গণধর্ষনের শিকার মেয়েটি ক্ষোভে অপমানে গলায় ওড়না পেছিয়ে নিজ ঘরে আতœহত্যা করে এবং একটি চিরকুটে গণধর্ষনের কথা লিখে যায়।

দাফনের ২দিন পর পপি বেগমের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে তার মা জোসনা বেগম এই চিরকুটটি পার এবং কারা তাকে গণধর্ষন করেছে তাদের নামও চিরকুটে লিখা আছে। ধারনা করা হচ্ছে বড় বোনের বাড়ির নিকঠাত্মীয়রাই তাকে গণধর্ষন করেছে। সাথে সাথে বিষয়টি জেনে তাকে চিকিৎসা করালে বা পতিকারমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মেয়েটি হয়তো আত্মহত্যা করতো না। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করার দাবি করেছেন এলাকাবাসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ