নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট- নামটিই যেখানে ‘পরীক্ষা’ সেখানে বাংলাদেশের উন্নতির গ্রাফটা চোখে পড়ে বিন্দুমাত্রই। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে জিততে হলে দারুণ কিছু করতে হবে বোলারদেরই। ভুরি ভুরি রান করেও প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে না পারলে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায় না- যার প্রমাণ ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক। তাই ভারত সফরে যাওয়ার আগে বার বার ঘুরেফিরে আসছে বাংলাদেশের বোলারদের সামর্থ্যরে প্রসঙ্গ। তাদের ২০ উইকেট তুলে নিতে পারবে তো টাইগাররা? এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু নিজেই সন্দিহান। এ মুহূর্তে টাইগার বোলারদের সে সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করছেন না বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক।
আগামী মাসেই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাশাপাশি দুটি টেস্ট ম্যাচ তারা খেলবে বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে যারা রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে। ঘরের মাটিতে টানা ১১টি টেস্ট সিরিজ জিতে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে তারা। সে দলটির বিপক্ষে ভালো ফলাফল করতে খেলতে হবে নিজেদের সেরাটা দিয়েই। তুলে নিতে হবে প্রতিপক্ষের সব উইকেট। নান্নুর মতে, বিদেশের মাটিতে সেটা করার মতো ক্ষমতা এখনও হয়নি টাইগার বোলারদের। তবে নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বোলিং করতে পারলে ভারতকে চাপে ফেলা সম্ভব, এটাও মানছেন প্রধান নির্বাচক, ‘একজন বোলারের কথা যদি আপনি বলেন যে, তার যদি একটা দিনে ২৫ ওভার বল করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে পরের ম্যাচে গিয়ে আরো বেশি বল করার সক্ষমতা থাকবে তার। স্ট্রেন্থ বলেন, এনার্জি বলেন সবকিছুতে উন্নতি আসবে। সেই হিসেবে চিন্তা করলে এখনই ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে, এটা আমি বলব না। তবে আমাদের বোলাররা অনেক অভিজ্ঞ এবং তাদের স্কিল আছে। এই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই ভারত চাপে থাকবে।’
প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট তুলে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাই জাতীয় লিগে বোলারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, ‘যেহেতু ২০টি উইকেটের কথা বলা হচ্ছে, বিদেশে এটা অনেক দুরূহ কাজ আমাদের জন্য। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে আমরা এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি, কাজ করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে...আমাদের ফাস্ট বোলাররা, স্পিনাররা দুই ইনিংস মিলিয়ে যেন অনেক ওভার বোলিং করতে পারে। কারণ স্কিল ফিটনেসের উপরে কোনো ফিটনেস নাই। একটা খেলোয়াড়ের ফিটনেস কিন্তু তখনই বিচার করা হয় যখন ওদের স্কিল ফিটনেসটা আপ টু দ্য মার্ক হয়।’
ঘরের মাঠে কিছু দিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়াই টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আর তার ভোগান্তিটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। তবে ভারত সফরে গতি তারকাদের বড় ভূমিকা থাকবে, এমনটাও কিন্তু নান্নু মনে করছেন না। শুধু গতি নয়, সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারলে যে কেউ সফল হবেন বলে দাবি তার, ‘আপনার যে কোনো খেলায় জিততে হলে সব বিভাগে ভালো করতে হবে। পেস বলেন, স্পিন বলেন, মিডিয়াম পেস, স্লো পেস সব ক্ষেত্রে ভালো করতে হবে। আপনার সক্ষমতা আপনি কীভাবে কাজে লাগাচ্ছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে ১৪০ কিলোমিটার গতির বল কিন্তু লাগে না। একটা ভালো স্যুইংয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও ব্যাটসম্যানদের আউট করা যায়। সুতরাং আপনার জায়গাটা কতটুকু, সঠিক স্থানে আপনি বল করছেন কত শতাংশ, সেটা জানতে হবে। একজন ফাস্ট বোলার যদি একটা টেস্ট ম্যাচের একটা সেশনে ৮৫-৮৭ শতাংশ সঠিক জায়গায় বল করতে পারে, অবশ্যই যে কোনো ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখা যাবে। আমি মনে করি, এখন আমাদের বোলারদের সক্ষমতা রয়েছে এবং আমাদের কোচ এটি নিয়ে কাজ করছে। সামনে যে সূচি রয়েছে প্রস্তুতির জন্য, সেখানে কাজ করা হবে। আশা করি, আমাদের বোলাররা এই অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে গেলে ভালো করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।