মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, নেপালের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবিকা উন্নয়নে সমর্থন জানায় চীন। নেপালের সঙ্গে নীতিগত সমন্বয় জোরদার করতে, ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য বিনিময় ও সহযোগিতা চালাতে, শিক্ষা, পর্যটন ও আঞ্চলিক বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক চীন। নেপালের ভ‚সম্পত্তি পুনর্গঠনকাজে যথাসাধ্য সহায়তা দেবে চীন। সেই সঙ্গে পানি সরবরাহসংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পে নেপালকে সাহায্য দেবে চীন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলি বলেন, নেপাল ও চীন হচ্ছে সত্যিকার বন্ধু ও সহযোগী। বাইরের পরিস্থিতির যে কোনো পরিবর্তন হোক-না-কেন, চীন ইস্যুতে নেপালের নীতি কখনও পরিবর্তন হবে না। বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতামূলক দলিলপত্র বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই শীর্ষনেতা।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্মানে গতকাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেপালি প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নেপাল সরকার ও নেপালি জনগণের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে উষ্ণ স্বাগত জানান ভান্ডারী। তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট শি’র এবারের নেপাল সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনা জনগণকে আন্তরিক ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানায় নেপালি জনগণ। চীনা শীর্ষনেতাদের চমৎকার নেতৃত্ব ও চীনা জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সংগ্রাম আজকের দারুণ চীন গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও নেপালের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে হাতে হাত রেখে যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক চীন। দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের বংশোদ্ভ‚ত মৈত্রীকে শুভকামনা জানান তিনি।
শনিবার তিনি নেপালে পৌঁছালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী তাকে স্বাগত জানান। এসময় নেপালি সামরিক বাহিনীর একটি চৌকস দল চীনা প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে বৈঠক করে দুই প্রেসিডেন্ট। এসময় তারা আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও চীন এবং নেপালের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, নেপালি ও চীনা কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, পর্যটন এবং অন্যদের মধ্যে অবকাঠামোগত সংক্রান্ত ১৭টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
নেপালি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট শি তাদের দেশকে ল্যান্ড-লকড অবস্থা থেকে চীনের রোড ইনিশিটিভ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জিনপিং বলেন, ‘আমি আশা করি অন্যান্য দেশগুলি নেপালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে। তিনি বলেন, বেইজিং ও কাঠমান্ডু তাদের সম্পর্কের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো বৃদ্ধি করবে।
২০১৭ সালে, নেপাল চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এ স্বাক্ষর করেছে, এটি একটি বহুজাতিক অবকাঠামোগত প্রকল্প যার মধ্যে রয়েছে হাইওয়ে এবং বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী চীনা বিনিয়োগকারীদের নেপালে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশি বিনিয়োাগ দরকার। আমরা চাইনিজ বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামো, পানিবিদ্যুতের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।’
সফরে শি জিনপিং নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।