পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
এখনও নিজেদের গ্রামে যেতে পারছেন না স্বইচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া ৩০০ রোহিঙ্গা। তারা বিভিন্ন সময় রাখাইনে ফিরে গেছেন। কিন্তু‘ এখনও সেখানে বসবাসের পরিবেশ তৈরি হয়নি। নিজের মাতৃভূমি প্রকৃত গ্রামেও তাদের যেতে দিচ্ছে না সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার বিশেষ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন রাখাইন রাজ্যে বসবাস করলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমার। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান জোরালো করলে জনগোষ্ঠীটির সাত লাখেরও বেশি সদস্য পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এছাড়াও জনগোষ্ঠীটির অনেক সদস্য নিরাপত্তার আশায় পাচারকারীদের সহায়তায় সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। ইনু নামের এক রোহিঙ্গা জানান, তিনি ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বালুখালি ক্যাম্প ত্যাগ করে মিয়ানমার যান। কিন্তু‘ রাখাইনে গেলেও নিজ গ্রামে যেতে পারছেন না তিনি। বহু কষ্টে পাঁচ সদস্যের পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে এখনও কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সু চি’র নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার। রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয়ও অস্বীকার করে আসছেন তিনি। এমন বাস্তবতায় গত আগস্টে মিয়ানমার সরকার বলেছিলো যে, তারা ৩,৪৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরে আসার ব্যাপারে সম্মত। ওই সময় কেউ ফিরে আসেনি। তবে স¤প্রতি ফিরে যাওয়া ২৬ ব্যক্তির কেউ প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী সেখানে যায়নি। দুই দেশের কর্মকর্তারাই বলছেন যে তারা রোহিঙ্গাদেরকে তাদের ইচ্ছার ব্যাপারে অবগত করেছেন। তবে ইনু বলেন, ‘আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করেনি যে আমরা মিয়ানমারে ফিরতে চাই কি না। প্রত্যাবাসন নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’ ইনু বলেন, তিনি কিচং গ্রামের প্রশাসনকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার সাথে কথা বলেই প্রত্যাবাসন শিবির দিয়ে ফিরে আসেন তারা। তার দাবি, প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। নিজে ব্যবস্থা করে ফিরেছেন তিনি। ইনু ও তারপরিবারে অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন না। ফেরার দিনই তাদের মংডুতে নিয়ে গেছে রাখাইন সরকার। কিন্তু‘ তারা নিজ গ্রাম কিচংয়ে ফিরে যেতে চান। কিন্তু‘ তা সম্ভব নয়। কারণ সেখানে কোনও রোহিঙ্গা থাকে না। মাহমুদ শারি নামে আরেক রোহিঙ্গা গতবছর মিয়ানমারে ফিরে যায় বলে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া। তার দাবি, তাকেও প্রত্যাবাসন নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর ক্যাম্পের শরণার্থীরাই শুধু প্রত্যাবাসন চুক্তির ব্যাপারে জানে। কয়েকজন ফিরে আসতে চায় আর কয়েকজন চায় না। তবে যারা গ্রামে ফিরতে চাইছে তাদেরকে ফিরতে দিচ্ছে না মিয়ানমার। মংডুর পান্তাপিন গ্রামে প্রশাসক আনোয়ার দাবি করে, রাখাইনে তার গ্রামে কয়েকজন রোহিঙ্গা ফিরে এসেছেন এবং বাসা ভাড়া করে থাকছেন। তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে কয়েজনজন রোহিঙ্গা ফিরে এসেছে। সরকার ১১ জনকে খাবার দিয়েছে।তিনি বলেন, কয়েকজন থাংকি গ্রামের ও কয়েকজন অন্য জায়গার। তাদের এখনও কিছু আত্মীয় এখানে থেকে গেছে, তাই এখানেই বসবাস করতে চাইছে তারা। তে, বুথিডং ও মংডুতে থাকা রোহিঙ্গারা বলেন, তারা এখনও জাতিগত নিধযজ্ঞের আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন মিয়ানমারে এখন সেটা সম্ভব না। সিতেতে বাস করা এক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের নির্ম‚লের জন্য হত্যা করতে হবে না। বরং তারা আমাদের এমন এক জীবনে ঠেলে দিয়েছে যেখানে জীবন বলে কিছু নেই আমাদের। রেডিও ফ্রি এশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।