নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে মো. মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদ (২৪) ও মো. আমানউল্লাহ (৩৩) নামে জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লার একটি মাদ্রাসায় জেএমবি সদস্যদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা শনিবার দিবাগত রাতে সেখানে অভিযান চালায়।

সেখান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ওই দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদের (২৪) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়।

তিনি ২০১০ সালে স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

২০১৬ সালে ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (টেক্সটাইল) সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১৪ সালে কথিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেন।

জেএমবিতে যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জসহ দেশেরে বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গি এ সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন।

তিনি অনলাইন থেকে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করে বিতরণ করে জেএমবির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার কাজ করে আসছিলেন।
তার মাধ্যমেই গ্রেফতারকৃত আসামি মো. আমানউল্লাহ উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবিতে যোগদান করে। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী এলাকায়।

তিনি বরিশালের একটি মাদ্রাসা থেকে কামিল পর্যন্ত পড়াশুনা করে নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। চাকরির পাশাপাশি ছম্মবেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রমও পরিচালনা করতেন।

মাদ্রাসায় তার কক্ষটি আলাদা থাকায় তিনি জেএমবি সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আইন-শৃংখলাবাহিনীর ওপর হামলার ও জেল থেকে আটককৃত জেএমবির সদস্যদের মুক্ত করার পরিকল্পনা এবং সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছেন।