Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে পুলিশেও অপরাধী !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৭ পিএম

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে সিলেট পুলিশের বিরুদ্ধে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ইমেজ সংকটে ভুগছে পুলিশ। চলতি বছর অন্তত ছয়টি অপরাধ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসলে, বিবেকী সংশোধন ঘটেনি অনেকের মধ্যে। বরং বিষয়টিকে মামুলি মনে করে যেই সেই হওয়ার পথে চলছে অনেকে, একাধিক সূত্র বিষয়টি এভাবে নিশ্চিত করেছে।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ ময়মনসিংহের এক দম্পতিকে নগরীর চৌহাট্টায় মানসিকভাবে হেনস্থা করেন এসএমপির এএসআই ওবাইদুর রহমান। হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন তিনি । অভিযুক্ত ওবাইদুরকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়।

গত ১৫ জুন নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে দাড়িয়াপাড়ার এক যুবককে মারধর করেন মহানগর পুলিশের এটিএসআই মাসুম আহমদ। ওই ঘটনায় তাকে ক্লোজড করা হয়। গেল জুলাই মাসে পুলিশে ৭ জনকে নিয়োগ দিতে ঘুষ গ্রহণ করেন সিলেট রিজার্ভ রেঞ্জ ফোর্সের (আরআরএফ) নায়েক খুরশেদ আলম। পুলিশের তদন্তে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ক্লোজড করা হয়। ১৫ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। গত ৪ আগস্ট রাতে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে ইয়াবাসহ মোগলাবাজার থানার কনস্টেবল তোফায়েল আহমদকে আটক করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে ৬০৩টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, নগর পুলিশের (এসএমপি) কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম গত ১৮ আগস্ট ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মারা যান। তবে তার স্বজনদের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তবে আশরাফুলের মৃত্যুর পর গত ১ সেপ্টেম্বর তার মোবাইল ফোনে পাওয়া দুটি ভিডিও চিত্রে বেরিয়ে আসে এসএমপিতে কর্মরত দুই পুলিশ সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য। ওই ভিডিওচিত্রের একটিতে নিহত আশরাফুলের স্ত্রী কনস্টেবল উর্মি বেগম এবং রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। অপরটিতে আশরাফুল তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোয় গোবিন্দকে মারধর করছেন, এমন চিত্রও ছিল।

এ ঘটনার পর তদন্তে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি বেরিয়ে আসায় গোবিন্দ শুল্ক দাস ও উর্মি বেগমকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ক্লোজড করে এসএমপি। গেল ৬ অক্টোবর নগরীর সুবিদবাজারে এক্সেল টাওয়ারের ৯ম তলার ফ্ল্যাট নং ‘এ’তে হোমিও চিকিৎসক দম্পতি সাবিহা সুলতানা ও মুসলিম আলীর বাসায় এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কোতোয়ালী থানার এসআই জুবায়ের খানের বিরুদ্ধে। পরে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পুলিশ সদস্যদের অপরাধের জড়িয়ে পড়া বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, যে‘অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে, এটাই হচ্ছে শেষ কথা।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ