Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

হত্যার ভয়ঙ্কর বর্ণনা

ইফতি মোশারফের পর জিয়নের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরো দুইজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন- বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র অমিত সাহা এবং একই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি হোসেন মো. তোহা। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী রিমান্ডের এই আদেশ দেন। ইফতিকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আবরারকে নির্যাতনের গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ঙ্কর বর্ণানা দিয়েছেন।

এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন-বুয়েটের এমএমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মো. মাজেদুল ইসলাম (২১) ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মো. শামীম বিল্লাহ (২০)। গতকাল ভোর ৪টায় সিলেটের শাহ কিরন এলাকা থেকে মাজেদুলকে এবং বিকেল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকা শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দু’জনসহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আসামি অমিত ও তোহাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী দুই আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ থেকে অমিত ও গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল ভোর ৪টার দিকে সিলেটের শাহ কিরন এলাকা থেকে মাজেদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আবরার হত্যা মামলায় তিনি ৮ নম্বর আসামি। তার বাসা নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায়। এছাড়া গ্রেফতার শামীম সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইফতি মোশাররফের পর জিয়নের স্বীকারোক্তি
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, হত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে গত মঙ্গলবার জিয়নের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
পুুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের ঘটনায় এর আগে দুই দফায় ১৩ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। এর মধ্যে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

হত্যার ঘটনার ভয়ঙ্কর বর্ণনা
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনার ভয়ঙ্কর বর্ণনা উঠেছে ইফতির জবানবন্দিতে। আবরারকে ধরে নেওয়ার পর ক্রিকেটের স্টাম্প আর প্লাস্টিকের মোটা দড়ি (স্কিপিং রোপ) দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। তাকে মাটি থেকে তুলে আবারও পেটাতে থাকেন তারা। ঘণ্টা কয়েক পর বমি করতে শুরু করেন আবরার। তিনবার বমি করার পর নিস্তেজ হয়ে যান।

জিজ্ঞাসাবাদে ইফতি বলেছেন, ৪ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি নির্দেশনা দেন। এতে বলা হয়, আবরার শিবির করে, তাকে ধরতে হবে। এরপর মেসেঞ্জার গ্রুপে সাড়া দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা। আবরার তখন বাড়িতে থাকায় তিনি ইফতিকে বলেন, ওকে বাড়ি থেকে ফিরতে দেন।

ইফতি আদালতে বলেন, ৬ অক্টোবর রাত ৮টার কিছু পর আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। আবরারের দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপও সঙ্গে আনা হয়। তার রুমমেট বুয়েট ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ একটি মোবাইল ফোন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর আরেকটি মোবাইল ফোন চেক করেন। একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির আল জেমি আবরারের কাছ থেকে তার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড নিয়ে খুলে চেক করেন।

জবানবন্দিতে ইফতি জানিয়েছেন, আবরারের ডিভাইসগুলো তারা যখন চেক করছিলেন, তখন মেহেদী হাসান এবং বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম ওরফে জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র) কক্ষে আসেন। মেহেদী তাদের বুয়েটে কারা কারা শিবির করে তা আবরারের কাছ থেকে বের করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় মেহেদী বেশ কয়েকটি চড় মারেন আবরারকে।

ইফতি আদালতকে বলেন, ওই কক্ষে তখন ক্রিকেটের কোনো স্টাম্প ছিল না। বাইরে থেকে তখন কেউ একজন স্টাম্প নিয়ে আসেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামসুল আরেফিন ওরফে রাফাত স্টাম্প এনে তার হাতে দেন। আবরারের কাছ থেকে কথা বের করার জন্য স্টাম্প দিয়ে চার-পাঁচটি আঘাত করেন ইফতি। এতে স্টাম্পটি ভেঙে যায়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র) স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে মারতে থাকেন। এতে আবরার উল্টাপাল্টা কিছু নাম বলতে শুরু করেন। তখন মেফতাহুল আবরারকে চড় মারেন এবং স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে বাড়ি দেন। এ সময় মেহেদী মুঠোফোনে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ইফতি আদালতকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ক্যানটিনে খেতে যান। মিনিট বিশেক পর ফিরে এসে দেখেন, আবরার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি মেঝেতে শুয়ে আছেন। তিনি তখন আবরারকে ধমক দিয়ে উঠে দাঁড় করান। কয়েকটি চড় মারেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদুর রহমান তখন কক্ষে থাকা স্কিপিং রোপ দিয়ে আবরারকে মারেন। ইফতি আবার স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু ও পায়ে আঘাত করেন। তাবাখখারুল তখন চড়-থাপ্পড় মারেন।

ইফতি ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার এই পর্যায়ে বলেন, রাত ১১টার দিকে অনিক সরকার আবার কক্ষে আসেন। হঠাৎ অনিক স্টাম্প দিয়ে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে এলোপাতাড়ি শতাধিক আঘাত করেন। অনিক খুবই অনিয়ন্ত্রিতভাবে আবরারকে মারতে থাকেন। তার মারা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যান। আনুমানিক রাত ১২টার পর অনিক আবরারকে মারা থামিয়ে কক্ষের বাইরে যান।
ইফতি বলেছেন, তখন আবরার অসুস্থ হয়ে পরে ছিলেন। তিনি জানান, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তখন আবরারের মাথার নিচে দুটি বালিশ দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই আবরার বমি করেন। মুঠোফোনে বিষয়টি অনিককে জানানো হলে তিনি আবরারকে গোসল করিয়ে হাতে-পায়ে মলম লাগিয়ে দিতে বলেন। এ সময় আবরার দ্বিতীয়বার বমি করেন। তখন আবরারের কক্ষ থেকে তাঁর কাপড়চোপড় নিয়ে আসা হয়। তখন মেহেদী আবরারকে দেখে বলেন, ‘ও নাটক করছে’।

ইফতি বলেন, এরপর আবরারকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়। এ সময় অমিত খুদে বার্তা পাঠালে তিনি সবকিছু জানতে চান এবং আবরারকে আরও মেরে আরও তথ্য বের করতে বলেন। আবরারের অবস্থা খুব খারাপ জানালে অমিত তাকে হল থেকে বের করে দিতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর মেহেদী ও অনিক ২০০৫ নম্বর কক্ষে আসেন। আবরারকে দেখে তারা বলেন, ‘ও ঠিক আছে।’ এরপর তারা চলে যান।

ইফতি বলেন, এ সময় আবরার আবার বমি করেন। মেহেদী তখন আবরারকে পুলিশের হাতে দেওয়ার জন্য নিচে নামাতে বলেন। ১৭ ব্যাচের ছেলেরা আবরারকে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হলে তোশকসহ আবরারকে ধরে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়িতে নামিয়ে রাখেন। তখন আবরার বলছিলেন যে তার খুব খারাপ লাগছে। সাধারণ সম্পাদক রাসেল তখন নিচে নেমে হলের প্রধান ফটকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় মুনতাসির দৌঁড়ে এসে বলেন, আবরারের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। ইফতি তাকে মালিশ করতে বলেন। ইসমাইল ও মনির তখন অ্যাম্বুলেন্সে ফোন দেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় তামিম বাইক নিয়ে বুয়েট মেডিকেলের চিকিৎসক নিয়ে আসেন। চিকিৎসক আসার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স আসে। চিকিৎসক সিঁড়িতে আবরারকে দেখে বলেন, ‘ও মারা গেছে।’ পরে ইফতি একটি কক্ষে গিয়ে শুয়ে থাকেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্টতা পেলেই গ্রেফতার করা হবে-মনিরুল
গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে কারো সংশ্লিষ্টতা পেলেই গ্রেফতার করা হবে। এক্ষেত্রে এজাহারে নাম আছে কি-না তা দেখা হবে না। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলার কাজ শেষ করে আদালতে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এক আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কপি এখনো আমরা পাইনি। কপি পেলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো- কতটুকু শেয়ার করতে পারবো। এছাড়া শুধুমাত্র একজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি পেলে আর বাকিদের না পাওয়া গেলে তার মধ্যে কতটুকু প্রকাশ করা যাবে, তা নিয়েও আইনি বিধিনিষেধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি প্রসঙ্গে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে। এ ঘটনায় পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।



 

Show all comments
  • Bakul Bin Sana Ullah ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    Freedom of expression should be ensure for everyone &its necessary for Bangladesh. Our deepest condolences to Abrar family and demanding just punishment!Thanks prime minister Sheikh Hasina to take rapid action.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mohib Khan ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    ফাঁশি চাই
    Total Reply(0) Reply
  • মহীয়সী বিন্তুন ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    এখন ওদেরকেও উচিত এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা।
    Total Reply(0) Reply
  • মৃত্তিকার বুনট ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    একই ভাবে খুনিদেরকে মারা দরকার,
    Total Reply(0) Reply
  • Nayem Cox's Bazar ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    নিহত "আবরার ফাহাদের" মতো প্রতিদিন শত শত ছাত্র নির্যাতিত হচ্ছে ছাত্রলীগের "টর্চার সেলে" দেখার কেউ নেই! এই টর্চার সেলের নির্যাতনে "আবরার ফাহাদের" মৃত্যু হওয়ায় এই ঘটনা সবার নজরে এসেছে....
    Total Reply(0) Reply
  • Sanjida Iqbal ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    মনে হচ্ছে আবরার আমারি ছেলে।আমি আজ দু, তিনদিন পাগলের মত কঁাদছি,আমি আবরার হারা মা।
    Total Reply(0) Reply
  • Jesmin Ara ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আর কোনো মার কোনো সন্তান এভাবে মারা না যায় সে দাবি জানাচ্চি ? আমরা আমদের সন্তান কে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বাইরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি ।
    Total Reply(0) Reply
  • সুজন শেখ ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হউক
    Total Reply(0) Reply
  • আরশি আরশি ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    একটা ক্যাম্পাসে কত কত ছাত্র থাকে সবাই একজোট হলে ওরা ১১ জন আর কি করতে পারতো
    Total Reply(0) Reply
  • Md Robiul Islam ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    মহান আল্লাহ পাক আবরারকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, আমিন। আমি মনে করি আবরার নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mhod Shohel Sheikh ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    আজ থেকে ৭ জন বীর শ্রেষ্ঠদের পাশে আমি আবরার ফাহাদের নামটাও লিখবো, কারন আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছে সেও একজন বীর শ্রেষ্ঠ
    Total Reply(0) Reply
  • Mesbahol Alam ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    চোখের জল মুছে ফেলো!ভাই... ভাইয়ের রক্তের বদলে রক্ত ঝরাতে হবে। ওরা থামবেনা ওরা হায়েনার দল....ওদের বুঝাতে হবে আমরাও মারতে পারি
    Total Reply(0) Reply
  • Kachi ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:২৫ এএম says : 0
    এদের সবাইকে আবরার এ মত মেরে ফেলা হউক।
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel jeshore ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:২২ এএম says : 0
    আমি আমার সন্তানকে বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে চাই না কি করলে আমার ছেলে লেখাপড়া করবে দেশের দেশের বাইরে আর না হয় উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করব না
    Total Reply(0) Reply
  • Mawlana Ismail ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম says : 0
    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Zaman ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম says : 0
    Rokter bodole rokto niyei er bihit kora cai, zeno ta ekti dristanto hoye thake.
    Total Reply(0) Reply
  • hiron ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৩৯ এএম says : 0
    বিচার কি আদো হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • hiron ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৪০ এএম says : 0
    বিচার কি আদো হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD. NAZMUL ISLAM ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ পিএম says : 0
    CHAR HAT PA KATA NEA HOK PROKASHA
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃফেরদাউস ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১২ পিএম says : 0
    সঠিক বিচার চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম says : 0
    একই ভাবে খুনিদেরকে মারা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৯ পিএম says : 0
    ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হউক
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Shahanshah ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:২০ পিএম says : 0
    ................ এদের সকলকে ফাঁসিতে জুলিয়ে মারা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • md shajib ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:১৭ পিএম says : 0
    আমার তো মনে হচ্ছে না যে এরা রিমান্ড ফেরত। মনে হচ্ছে শশুর বাড়ি থেকে লজ্জায় মুখ নিচু করে মেহমানদের সামনে আসছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৩৫ পিএম says : 0
    After some time they will be out of jail as chittagong medical college murder 13 satro lig out of jail. Wait and see.
    Total Reply(0) Reply
  • আবু আব্দুল্লাহ ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:২৯ পিএম says : 0
    ঘটনা পড়ে চুকের পানি আছে গেল হায়রে আমামীলীগ তুই এতবড় জালিমের দল ?
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:১৩ পিএম says : 0
    এদের সবাইকে মেরে ফেলা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:১৪ পিএম says : 0
    এদের সবাইকে মেরে ফেলা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful islam ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:১৩ পিএম says : 0
    Eder ke sorbo usso mirturdondo hote hobe are kun polis ke era call dise tader ke kuje ber kore sasti dite hobe
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful islam ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:১৩ পিএম says : 0
    Eder ke sorbo usso mirturdondo hote hobe are kun polis ke era call dise tader ke kuje ber kore sasti dite hobe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ