Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চেন্নাইয়ে জিনপিংকে রাজকীয় অভ্যর্থনা, আজ বৈঠক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ইমরান খান শেষ মুহ‚র্তেও কাশ্মীরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ভারত চাইছে কাশ্মীর প্রসঙ্গ পাশে সরিয়ে রেখে দ্বিপাক্ষিক ক‚টনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি। এমনই আবহে গতকাল শুক্রবার ভারতে পা রাখলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আজ শনিবার ঘরোয়া বৈঠকে তিনি মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মোদি।
চেন্নাই বিমানবন্দরে শি জিনপিংকে স্বাগত জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও চীনের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে সংলাপই এই সফরের সারকথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সংঘাতহীন রাখতে আরও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ, সন্ত্রাস এবং পরিবেশ দূষণ দমনে বাড়তি সহযোগিতা, সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি কমানোর বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন মোদি। চেষ্টা করা হচ্ছে আলোচনাকে কাশ্মীর-কেন্দ্রিকতা থেকে বের করে আনতে।
চীনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর শি-ইমরান, যৌথ বিবৃতিতেও চীন-পাকিস্তানকে কাঁধে কাঁধ মেলাতে দেখা গিয়েছে কাশ্মীর প্রশ্নে। ভারতে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে শি-র বক্তব্য, পাকিস্তান যেগুলিকে মূল বিষয় বলে মনে করে, তার প্রতি চীনের সমর্থন রয়েছে এবং কাশ্মীরের দিকে চীন নজর রেখেছে।
তার মধ্যে গতকাল শুক্রবার জিনপিং চেন্নাই বিমানবন্দরে নামার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফের কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেছেন ইমরান খান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইমরান বলেছেন, বিতর্কিত ভূখন্ডে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কেন কাশ্মীরের খবর তুলে ধরছে না, তা নিয়েও সমালোচনা করেছেন ইমরান।
সূত্রের মতে, মমল্লপুরমে কাশ্মীর নিয়ে দিল্লি কথা বলতে না চাইলেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রভাব প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পড়বে কি না, তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন জিনপিং। ক‚টনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এটাও মত যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে চাপে রাখতে চায় চীন। ফলে আগামী দু’দিন কাশ্মীরকে এড়িয়ে চলা যাবে কিনা সন্দেহ। তবে এ নিয়ে সংঘাত এড়ানোই লক্ষ্য সাউথ বøকের। বরং মমল্লপুরমের সংলাপকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রশ্নে কার্যকর করে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আজ শনিবার ‘তাজ ফিশারম্যানস কোভ রিসর্টে অ্যান্ড স্পা’তে প্রথমে দুই শীর্ষ নেতা বৈঠক করবেন। সেখানেই তারা স্থানীয় তামিল খাবার দিয়ে নৈশভোজ ও দুপুরের খাওয়া দাওয়া করবেন। তার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলবেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দুই শীর্ষ নেতা ইয়াং জিয়েচি এবং ওয়াং ই। আজ শনিবারই চেন্নাই থেকে নেপাল রওনা হবেন জিনপিং। অন্য দিকে জিনপিংয়ের সফর উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা মমল্লপুরম। নিরাপত্তার কড়াকড়িও রয়েছে এই সৈকত শহর জুড়ে। সমুদ্রেও নজরদারি চালাতে নৌবাহিনী ও উপক‚লরক্ষী বাহিনী অতিরিক্ত জাহাজ মোতায়েন করেছে।
দু’দিনের এই সফর যেন ১৬০০ বছর আগে চীন ও ওই উপক‚লীয় শহরের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সেই যুগকে ফিরে দেখা। পল্লব রাজাদের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের সাক্ষী এই মামাল্লাপুরম। সেই সময় এই শহর ছিল জমজমাট। চীন ও দক্ষিণ এশিয়ায় রফতানি ও আমদানির কেন্দ্র ছিল মামাল্লাপুরম। এটা চীনের ‘সিল্ক রুট’-এরও অংশ ছিল। মোদির সঙ্গে জিনপিংয়ের প্রথম ঘরোয়া বৈঠক হয় গতবছর চীনের ছবির মতো সুন্দর লেক শহর উহানে। সূত্র : এনডিটিভি, টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ