নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের, ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে সমান তালে লড়ে ভালো খেলেও জয় পায়নি তারা। একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি নাবীব নাওয়াজ জীবনরা। সমান তালে লড়লেও শেষ পর্যন্ত হারের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। বলা চলে খেলল বাংলাদেশ জিতল কাতার! গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার ২-০ গোলে হারায় লাল-সবুজদের। বিজয়ী দলের হয়ে ফরোয়ার্ড ইউসুফ আবদুর ইসাগ ও মিডফিল্ডার করিম বউদিয়াফ একটি করে গোল করেন।
পুরো ম্যাচ জুড়েই আফসোসে পুড়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। ম্যাচের শেষ দিকে এসেতো প্রায় পাগলের মতো অবস্থা জেমির। শিষ্যদের বার বার হাত নেড়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে তাতেও শেষ পর্যন্ত কাজ হলো না।
আয়োজক হওয়ার সুবাদে ২০২২ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে কাতার। তারা ফুটবলের পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করে। ফুটবলকে কেন্দ্র করে অবকাঠামোগত সুবিধা ও অ্যাকাডেমিসহ যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে কাতারের। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির অবস্থান যেখানে ৬২তম স্থানে, সেখানে বাংলাদেশ রয়েছে ১৮৭তম স্থানে। বাংলাদেশের চেয়ে র্যাঙ্কিং ও শক্তিতে অনেক অনেক এগিয়ে কাতার। তাই ম্যাচের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন দলটি কাছে গো-হারা হারবে বাংলাদেশ। কিন্তু না, কর্দমাক্ত মাঠ হলেও ছন্দময় ফুটবলই উপহার দিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। তারা গতির দিক দিয়ে কম ছিলেন না কাতারের ফুটবলারদের চেয়ে। অতিথি দলের রক্ষণদূর্গে বার বার আক্রমণে গেলেও একটি গোলের দেখাও পাননি সোহেল রানারা।
স্বাগতিকদের আক্রমণে গ্যালারিতে দর্শকদের গগণ বিদারী চিৎকার। ব্রিটিশ কোচ জেমির অধিনে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ। দেশের ফুটবলে নতুন করে জাগরনের গান বাঁধছেন জামাল-ইয়াসিনরা। অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে দেশের ফুটবল সমর্থকদের মন কেড়ে নিচ্ছেন। যার প্রমাণ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দু’ম্যাচ। আফগানিস্তানের কাছে ১-০ এবং বিশ্বকাপ আয়োজক কাতারের কাছে ২-০ গোলের হার লাল সবুজদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সফরকারীরা। ২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে অধিনায়ক হাসান আল হাইডোসের দুর্বল শট আটকে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। পরের মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল ধরে কাতারেরর বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। তবে বল ছিনিয়ে নেন কাতারের ডিফেন্ডাররা। ৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আবারো আক্রমণে যান জীবন। তবে এবারো বল হাতছাড়া হয়ে যায়। মিনিট তিনেক পর ডান প্রান্ত থেকে রায়হানের বাড়ানো বল পেয়ে বক্সের কাছে গেঔের নিয়ন্ত্রণ হারান সাদ উদ্দিন। পরের মিনিটেই রায়হানের থ্রো ইনে জীবনের হেড ফিরিয়ে দেন কাতার গোলরক্ষক। তবে ২৭ মিনিটে এগিয়ে যায় কাতার। এসময় বাঁ প্রান্ত থেকে ইউসুফ আবদুর ইসাগের শট আটকাতে ব্যর্থ হন রানা (১-০)। তবে ৪২ মিনিটে কাতারের বক্সে জটলার সৃষ্টি হলে সেখানেই বাংলাদেশের পর পর তিনটি শট প্রতিহত হয়েছে কাতারের পোস্টে। ফলে প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় অতিথিরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও জোর আক্রমণ শানায় কাতার। তবে তাদের আটকে দিতে চেষ্টার কমতি ছিলনা বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের। ৬৪ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ডিফেন্ডার মুসাবের শট বক্স থেকে ফিরিয়ে দেন জীবন। তবে ৭০ মিনিটের পর থেকে বেশ কয়েক মিনিট কাতারের বক্সে রীতিমতো ঝড় তুলে দেন ইয়াসিন-বিপলুরা। ৭১ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রায়হানের থ্রো আসা বলে মাথা ছুইয়েছিলেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। কিন্তু সেই বল ফিরিয়ে দেন কাতার গোলরক্ষক সাদ আল শিব। ফিরতি বলে আবারো হেড নেন ইয়াসিন। এবারো অল্পের জন্য বল জালে জড়ায়নি। ৭৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থর পাসে ছোট বক্স থেকে শট নেন জামাল ভুইয়া। এবারো সুযোগ হাতছাড়া হয়। ৭৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ইব্রাহিমের পাসে শট নেন বিপলু। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে (৯০+১ মিনিট) হতাশা বাড়ে স্বাগতিক শিবিরে। এসময় জটলার মধ্য থেকে গোল করেন কাতারের করিম (২-০)। ম্যাচ শেষে রাতেই দেশের উদ্দেশ্যে বিমান ধরেছে কাতার। আজ কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ। ১৫ অক্টোবর সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবেন জেমি ডে’র শিষ্যরা।
বাংলাদেশ ০ : ২ কাতার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।