Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয় পেতেই মাঠে নামবে কাতার

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:৪৮ পিএম

২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বটি এশিয়ান কাপের জন্য হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতেই মাঠে নামবে তারা। এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাতার আয়োজক হিসেবে আসন্ন বিশ্বকাপে সরাসরি খেললেও বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে ছাড় দিতে নারাজ। শুধু শক্তির বিচারেই নয়, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও কাতারের চেয়ে অনেক অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। তারপরও স্বাগতিক দলকে সমীহই করছে অতিথিরা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকায় পৌঁছে কাতার জাতীয় দল। বাছাই পর্বের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে মোকাবেলা করবে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের মাটিতেই ভারতের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করে কাতার। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে চাইবে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজকরা। আর সেটা করে দেখাতেই এখন প্রস্তুত তারা। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান কাতারের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। শেষ সাতদিন আমার ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তাই এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েই ভাবছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য জয়ের ধারায় ফেরা। আশাকরছি ছেলেরা আমাকে নিরাশ করবে না। তারা উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেবে।’ জয়ের আশা করলেও বাংলাদেশকে মোটেও খাটো করে দেখছে না কাতার। বরং শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে লাল-সবুজদের সমীহই করছে তারা। এ প্রসঙ্গে কোচ সানচেজ বলেন,‘প্রতিপক্ষ হিসেবে কেবল বাংলাদেশই নয়, এশিয়ার সব দেশকেই শক্তিশালী মনে করি আমি। তাদেরকে সমীহও করি। এশিয়ার সবগুলো দেশই ভালো ফুটবল খেলে। তাই বাংলাদেশকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।’

ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ড্র নিয়ে কিছুটা হতাশ কাতারের স্প্যানিশ কোচ। তার কথায়, ‘ভারতের বিপক্ষে আমার দল ড্র করায় আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। তবে সময় ফুরিয়ে যায়নি। এখনো জয়ের ধারায় ফেরার সুযোগ আছে। কাল (বৃহস্পতিবার) ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবো আমরা। প্রত্যেকেরই ভালো সুযোগ রয়েছে ম্যাচে।’

কাতারের ফুটবল সম্পর্কে কোচ সানচেজ বলেন,‘কাতার ফুটবল উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ খরচ করে। তাদের একাডেমি রয়েছে। অবকাঠামো অনেক ভাল।’ বাংলাদেশ সম্পর্কে তার বক্তব্য,‘প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ শক্তিশালী। তাদের খেলা দেখেছি। তবে আমরা প্রতিটি দলকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েই মাঠে নামি। বর্তমান যুগে সব দলই অন্য দলকে নিয়ে গবেষণা করে। আমরাও তা করেছি।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সম্পর্কে কাতার কোচের অভিমত, ‘অনেক দিন থেকেই আমি তাকে (জামাল ভূঁইয়া) জানি। সে তার দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার এবং দলকে পরিচালনা করতে পারে।’

নিজেদের দেশে তার দল টার্ফে খেলে অভ্যস্ত হলেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রাকৃতিক মাঠে খেলতে সমস্যা নেই বলে জানান কাতার কোচ। তিনি বলেন,‘ম্যাচেরস্কোরলাইন কি হবে সেটা আগে থেকে বলার সুযোগ নেই।’

কাতারের তারকা খেলোয়াড় আলী হাসান বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো খেলার অপেক্ষায় আছি। আশাকরছি সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় তুলে নেব।’

১৩ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছে কাতার ও বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দোহায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল কাতার। তার আগে ১৬ আগষ্ট চট্টগ্রামে হোম ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই যুগ পরে মোকাবেলার আগে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তি ও সামর্থ্যে বহুগুন এগিয়ে মধ্যপ্রাচের দলটি। তবে অতীতে কাতার জাতীয় দলকে রুখে দেয়ার রেকর্ড কিন্তু রয়েছে বাংলাদেশের। তাও ৪০ বছর আগে। ১৯৭৯ সালে ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কাতারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে প্রথম এবং শেষবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল লাল-সবুজরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ