মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে বিদেশি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে যেতে পারবেন পর্যটকরা। ফলে ব্যবসায় মন্দা কাটিয়ে খানিক লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন ভূ-স্বর্গের ব্যবসায়ীরা। এর মধ্য দিয়েই হয়তো টানা দুমাসেরও বেশি সময় ধরে অচলাবস্থার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করছে কাশ্মীর পরিস্থিতি।
সোমবারই জম্মু ও কাশ্মীরের চিফ সেক্রেটারি এবং অ্যাডভাইজরদের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক সেরেছেন উপত্যকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এর পরেই এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
মাস দুয়েক আগে উপত্যকায় বিলোপ হয়েছে ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে নেয়া হচ্ছে। ফের উপত্যকায় যেতে পারবেন পর্যটকরা।
গত ৫ আগস্ট উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় উপত্যকাকে।
জম্মু ও কাশ্মীরের আমজনতার উন্নতির স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় থেকেই নিরাপত্তার খাতিরে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল উপত্যকায়।
বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় টেলিফোন লাইনের। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনাবাহিনী। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। এমনকি গ্রেফতার করা হয় উপত্যকার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেও।
এসবের মধ্যে তড়িঘড়ি পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আগস্ট মাসের প্রথমদিকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়। চলতি বছর মাঝপথেই থামিয়ে দেয়া হয় যাত্রা। ফিরে যেতে বলা হয় তীর্থযাত্রীদের।
নাশকতার আশঙ্কার কারণে পর্যটকদের ২ আগস্ট কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ৩ আগস্ট শ্রীনগর থেকে ফিরে যায় প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি পর্যটক। সেই থেকেই কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
সে সময় বলা হয়েছিল- জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিরাপত্তার খাতিরে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি পরিবহনের সাহায্যে সমতলে নামিয়ে আনা হয় পর্যটকদের। সরকারের আচমকা এ সিদ্ধান্তের জেরে ভোগান্তির একশেষ হয় সাধারণ মানুষের। প্লেনের টিকিটের আশায় শ্রীনগর এয়ারপোর্টে জমা হন সারি সারি লোক।
সরকারের আচমকা এ সিদ্ধান্তের জেরে ভোগান্তির একশেষ হয় সাধারণ মানুষের। প্লেনের টিকিটের আশায় শ্রীনগর এয়ারপোর্টে জমা হন সারি সারি লোক। সরকারের এ সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছিল উপত্যকার ব্যবসায়ীদেরও। পর্যটন এখানকার একটা বড় অংশের মানুষের রুজিরুটির জোগান দেয়।
পরিসংখ্যান বলছে, বছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় ৫ লাখ লোক আসেন উপত্যকায়। অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে এ বছর জুলাই মাসেও জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ তীর্থযাত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।