মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরাকীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই নতুনমাত্রা পেয়েছে। গত ১ অক্টোবর জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে। এদের বেশিরভাগই তরুণ, যারা দেশটিতে দুর্নীতি-বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। অব্যাহত আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত হয়েছেন। এখন বিক্ষোভকারীরা দেশটিতে নতুন সরকারের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকেই ভঙ্গুরদশা থেকে ইরাককে বাঁচাতে সামরিক শাসনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা জানা না গেলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলনে চূড়ান্ত ফলাফল আসতে চলেছে।
সরকারি বাহিনী শুরু থেকেই বিক্ষোভ দমনে চড়াও। প্রথম দিন জলকামান, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বুলেটে জবাব দেয় স্নাইপার ব্যবহার করে। এতে প্রাণহানি বেড়েছে, বিক্ষোভও ছড়িয়েছে গোটা দেশে। বাধ্য হয়ে কারফিউ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে চাপে পড়ে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি সংসদের জরুরি অধিবেশন ডাকলেও বেশিরভাগ এমপি না এসে অনাস্থা প্রকাশ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ডিক্রির মাধ্যমে ১৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। নতুন সরকারের দাবি জোরালো
কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। শিয়া নেতা মুকতাদার আল-সদর ছাড়াও অনেকের সমর্থন পেয়েছে। এখন সরকারও নমনীয় হয়ে গতকাল কূটনীতিক এলাকা গ্রিনজোন খুলে দিয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবার বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী ১৩ থেকে ৩০ বছর বয়সী, যারা ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর দেশটিতে বেড়ে উঠেছেন। তারা ফরেন পলিসিকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুরক্ষিত সংসদ নিয়ে তরুণরা হতাশ। দ্বৈতশাসনে বিরক্ত। এখন আবারও তারা সাদ্দাম হোসেনের মতো সামরিক শাসন চাইছেন। আহত বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতালে আসা আবদুল্লাহ (২৫) বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে আমরা ভিন্নধর্মী সরকার চাচ্ছি। হতে পারে সেটি প্রেসিডেন্সিয়াল অথবা সামরিক।’ আলি আবদুল করিমের (১৮) ভাষ্য, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জেনারেল আবদুল-ওয়াহাব আল-সাদিই এখন ইরাককে বাঁচাতে পারবেন। তিনি মসুলকে আইএসমুক্ত করেন। সাচ্চা দেশপ্রেমিক। ইরান ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।’
গবেষক রিনাদ মনসুর বলেন, ‘দুর্নীতি-বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ এবারই প্রথম নয়। মাহদির সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে। এখন এটি স্পষ্ট, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। জনতাও এটি ভেঙে আগের পদ্ধতি চাইছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।