পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি মানুষ এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছেন। দেশের সব গণমাধ্যম এটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। শুধু দেশেই নয়, আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের বিষয়টি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে এই বর্বর হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফপি, গালফ নিউজ, ভয়েস অব আমেরিকা, আল-জাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ আরও কিছু গণমাধ্যম।
দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজ ফাহাদ হত্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম- ‘বাংলাদেশ : শিক্ষার্থী হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের শুরু।’ এই প্রতিবেদনে লেখা হয়, এক আন্ডারগ্র্যাজুয়েটকে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা এবং প্রধান কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয়। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে সরকারের সমালোচনার কারণে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা আবরার ফাহাদকে হত্যা করে। ঢাকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিবিসির শিরোনাম ছিল, ‘আবরার হত্যা: আটক দশজন পুলিশ রিমান্ডে, বিক্ষোভে অচল বুয়েট।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম দেয়- বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তার মৃতদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের বারান্দায় পাওয়া যায়। অন্য শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র শাখার সদস্যরা ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পিটিয়ে মারে।
এগুলো ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের বিষয়টি এভাবেই গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনগুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছবিও প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।