মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এবার উপত্যকাটির ওপর আরোপিত সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মানবাধিকার কমিটি।
মার্কিন কংগ্রেসের এই কমিটির মতে, অবিলম্বে উপত্যকাটি থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে কাশ্মীরিদের অন্য যে কোনো ভারতীয়র মতো অধিকার নিশ্চিত করা উচিত।
এ দিকে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সংস্থাটির বৈদেশিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ কমিটি (এইচএফএসি) এক টুইট বার্তায় জানায়, দীর্ঘদিন যাবত কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থাতে থাকায় জন সাধারণের ওপর এরই মধ্যে বিষয়টির মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এখন দিল্লি সরকারের উচিত অবিলম্বে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে অন্য ভারতীয়ের মতো কাশ্মীরিদের সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
অপর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস খুব শিগগিরই এইএফএসির একটি শুনানিতে অংশ নেবেন। যেখানে তিনি কাশ্মীরিদের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া কমিটিটির প্রধান ব্র্যাড শেরমানও আসামের সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি এনআরসি প্রকাশের ফলে রাজ্যের ১৯ লক্ষাধিক বাঙ্গালির করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরতে পারেন। একই সঙ্গে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র খ্যাত শ্রীলঙ্কার তামিল ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতিও শুনানিতে তুলে ধরা হবে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারসহ রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানানো হলেও; কাশ্মীর জুড়ে এখনো সংঘর্ষ ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি পাকিস্তানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।