গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থী পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন উক্ত শিক্ষার্থীর কয়েকজন সহপাঠী।
গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ (২১)
এর মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
হল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত মধ্যকার হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গতকাল রাতে 'শিবির' আখ্যা দিয়ে মারধর করে আবরারকে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (০৭) দুপুর ১২ টার দিকে শেরে বাংলা হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর ইকবালের কাছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখার জোড় দাবি জানান। এছাড়া, তখন প্রাধ্যক্ষ গড়িমসি করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলেন, 'আপনার ছেলে মারা গেলে তখন আপনি কী করতেন? স্যার! আমাদের জীবনের কী কোনো মূল্য নেই আপনাদের কাছে??'
এদিকে হত্যাকাণ্ডের এতক্ষণ পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেননি। এছাড়া মুঠোফোনে কল দিলেও কল ধরছেন না তিনি। দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপাচার্যকে মুঠোফোনে কল দেন প্রাধ্যক্ষ। তখন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহযোগী (পিএস) কল রিসিভ করে উপাচার্য অসুস্থ বলে জানায়। এজন্য উপাচার্য আসতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ না দেখে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার না দেখে নিজেরা কোথাও না যাওয়ার এবং প্রশাসনের কাউকেও বাইরে না যেতে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে অনশন করার কথাও বলেন শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।