বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বর্শা দিয়ে আঘাতে করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার স্থলবল্লা পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী শাহীনুর রহমান (৩৫), শ্বশুর আব্দুস সামাদ ও শাশুড়ি তারা বানু পালিয়ে গেছে। বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম তুহীন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম স্বপ্না আক্তার (২৭)। তিনি উপজেলার ভ্রাহ্মণপাড়িল এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মুন্নান মিয়ার মেয়ে। স্বপ্না দুই সন্তানের জননী।
স্বপ্না আক্তারের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের আব্দুস সামাদের প্রবাসী ছেলে শাহীনুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর ভালোই চলে। এরমধ্যে তাদের ছেলে জন্ম নেওয়ার পর শাহীনুর দেশে চলে আসে। এরপর থেকে কোনও কাজকর্ম না থাকায় হতাশাগ্রস্ত শাহীনুরের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। শাহীনুর বিভিন্ন সময় স্বপ্নাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। স্বপ্নাও তাকে কয়েক ধাপে টাকা এনেও দেয়। সম্প্রতি শাহীনুর তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ির ওয়ারিশ বিক্রি করে টাকার আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। স্বপ্না ওয়ারিশ আনতে অসম্মতি জানালে স্বামীর নির্যাতন বেড়ে যায়। সপ্তাহ খানেক আগে তার স্বামী স্বপ্নাকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে শাহীনুরের মা-বাবা পুত্রবধূ বুঝিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নিহত স্বপ্নার বাবা মুন্নান মেম্বার বলেন, ‘জমি বিক্রি করে টাকা না দেওয়ার কারণে স্বপ্নাকে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে বর্শা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল গিয়ে দেখি লাশ পড়ে আছে। সময় শাহীনুরসহ ওই পরিবারের কেউ হাসপাতালে ছিল না। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
সরেজমিন স্বপ্নার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে-পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম তুহীন আলী বলেন, ‘স্বপ্নাকে বর্শা দিয়ে তার স্বামী একাধিক আঘাত করে হত্যা করেছে। পরে লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। লাশ মর্গে রয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।