মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক তালিকা (এনআরসি) তৈরির চেষ্টা করছে। আর এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের অধিবাসীরা। যেকোনো মূল্যে এনআরসির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার হুশিয়ারি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমবর্ধমান তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবার এক কাতারে শামিল হয়েছে হিন্দু-মুসলিম সংগঠনগুলো। লড়াইয়ের করণীয় সম্পর্কে একমত হয়েছে তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) তালিকা নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যেই আশঙ্কা কাজ করছে। গত সপ্তাহেই বিজেপি সভাপতি এবং দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে এসে বলেন, হিন্দুদের কোনো ভয় নেই। তাদের দেশ থেকে বের করা হবে না। তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার পরই এনআরসি হবে। তবে দলিত, নমশূদ্র ও মতুয়া হিন্দুদের একটা বড় অংশ বিজেপির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা এখন মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে একযোগে পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য এনআরসি মোকাবেলা করতে চায়।
বৃহস্পতিবারই একটি বৈঠকে মিলিত হয় দলিত, নমশূদ্র ও মতুয়া হিন্দুরা এবং কয়েকটি মুসলমান সংগঠন। সভায় এনআরসি কিভাবে মোকাবেলা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি যৌথ মঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এই মঞ্চের একজন আহ্বায়ক।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা আতঙ্কে আছেন। কারণ আসামে কয়েক লাখ হিন্দুর নাম এনআরসি তালিকায় নেই। তিনি আরও বলেন, নাম বা পরিচয়ের সামান্য ভুলের জন্য এনআরসি তালিকায় নাম না আসার আতঙ্কে আছে মুসলিমরা। সমস্যাটা দুই ধর্মের মানুষের জন্যই। তাই একযোগে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই মঞ্চের আরেকজন আহ্বায়ক হলেন সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সহসভাপতি সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের প্রথমে শরণার্থী এবং পরে নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর অধিকার দেয়ার কথায় ভরসা করা যাচ্ছে না। বিজেপি সরকারই তো ২০০৩ সালে ওদেশ থেকে আসা মানুষদের- যাদের বেশির ভাগই হিন্দু, তাদের অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে দিয়েছে। এখন নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন এনে আমাদের শুধু অনুপ্রবেশকারী তকমা তুলে দিয়ে শরণার্থী বলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস আরও বলেন, নাগরিকত্ব বিল এনে যা করার কথা বলা হচ্ছে, তাতে প্রমাণ করতে হবে যে একজন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, আর দ্বিতীয়ত সে দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অথবা নিপীড়ন হতে পারে এই আশঙ্কায় এসেছেন- সেটাও প্রমাণ করতে হবে। এই দুটো শর্ত কি কারও পক্ষে পূরণ করা সম্ভব? তবে বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের অন্যতম নেতা মোহিত রায় বলছিলেন, এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল প্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনের কোথাও কোনও প্রমাণের ব্যাপারই নেই। দ্বিতীয়ত, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন তো করতেই হবে এটাও বলা আছে যে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভারতে এসেছেন এরকম হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-জৈন-পার্শি- এরকম মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে! তাই আবেদন করলেই নিশ্চিতভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কী যাবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়।
মোহিত রায়ের এটাও প্রশ্ন, যে হিন্দুদের আশ্বস্ত করা সত্তে¡ও যদি কারও কোনো বিরোধিতা থাকে, বক্তব্য বা আশঙ্কা থাকে, সেটা তারা তুলতেই পারেন, কিন্তু এর জন্য মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে হাত মেলাতে হবে কেন, সেটা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।