Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিষ্যের কাছে গুরুর হার!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:২৫ পিএম | আপডেট : ৯:৩৭ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০১৯

ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। বুধবার বিকেলে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে নোফেল ১-০ গোলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড আরমান হোসেন আবির। সাইফের এই হারে শুধু নোফেলেরই জয় হলো না, শিষ্য আকবর হোসেন রিদনের কাছে হারলেন গুরু কামাল বাবু! কারণ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জয়ী নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ আকবর হোসেন রিদনের গুরু সাইফের কোচ কামাল বাবু। যিনি ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত মৌসুমে রিদনের দল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান কোচ ছিলেন।

ওই মৌসুমে রিদন’কে নোফেলের খেলোয়াড় কাম সহকারী কোচের ভুমিকায় দেখা গেছে। যদিও সর্বশেষ বিপিএল থেকে অবনমনে যায় নোফেল। ফলে অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ ছিল তারা। সেই আন্ডারডগরাই শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিতে নিলো! ফাইনালে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগতে পারেনি সাইফ স্পোর্টিং। অথচ গোল হওয়ার মতো মাত্র একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোনালী ট্রফি হাতে বাড়ি ফিরল নোফেল। বলা যায় খেলেছে সাইফ, জয় পেয়েছে নোফেল। ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে নোফেল শিবিরকে উৎসবে মাতান আবির (১-০)। এরপর গোল শোধে মরিয়া সাইফ একাধিক সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে শেষ পর্যন্ত হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কোচ কামাল বাবুর দলকে।

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বসুন্ধরা কিংসের রাশেদ, ফাইনাল সেরা নোফেলের মো: রাকিব। এছাড়া ছয়জন সর্বাধিক গোলদাতার পুরস্কার জেতেন। ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ও পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রæপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন।

ম্যাচ শেষে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ কামাল বাবু বলেন, ‘ প্রায় হাফডজন সুযোগ নষ্ট করলে কোন দলই ম্যাচ জিততে পারে না। গোলের অনেক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ছেলেরা। তাছাড়া ফিনিশিংও বাজে ছিল। গোলমুখে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’

কোচ কামাল বাবুর অধীনে ২০ বছর ছিলেন রিদন। বেশ ক’বছর সহকারী কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এবারই ‘বি’ লাইসেন্স সনদ নিয়ে প্রথম কোন টুর্নামেন্টে প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করলেন। প্রথমবারই সফল। রিদন বলেন, ‘আমার ‘বি’ লাইসেন্স কোচিংয়ের কষ্ট সার্থক হয়েছে। প্রথম কোচ হয়েই শিরোপা জিততে পেরেছি। তবে কেউ বিশ্বাসই করতে পারেনি যে, আমার দলই চ্যাম্পিয়ন হবে। যদিও সেই বিশ্বাস আমার ছিল। সাইফের মতো আমিও এখানে অনুশীলন করিয়েছি। তাই দেখেছি তারা কিভাবে অনুশীলন করে। গুরু কামাল বাবুর কোচিং দেখেছি। সেভাবেই ছেলেদের খেলিয়েছি।’

অবশ্য রিদনের যুক্তি খন্ডন করলেন কামাল বাবু, ‘দেখেই যদি কৌশল শিখে ম্যাচ জেতা যায়, তাহলে বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনীর ম্যাচ দেখে আমরা তাদের হারাতে পারতাম।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ